একে কী বলা যায়? দূর্ভাগ্য? না অন্যকিছু? খেলোয়াড়রা কী তাদের চিরচেনা উক্তি, ‘আজকের দিনটা আমাদের ছিল না’, বলেই পার পেয়ে যেতে পারবেন? না কপালের চামড়া আরেকটু কুচঁকাতে হবে? গালে হাত রেখে আরেকটু ভাবতে হবে? এসবের উত্তর নাহয় টিম ম্যানেজমেন্টের জন্যেই তোলা থাক।
আপাতত সর্বশেষ খবর এই যে, আজ বিকেলে বাংলাদেশ-শ্রীলংকার টি-টুয়েন্টি ম্যাচ হয়। বাংলাদেশ তাতে বেশ বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। শুধুমাত্র সাধারণ কোনো পরাজয় হলে এতগুলো প্রশ্ন উঠে আসতো না। অমন হার তো কতোই হেরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কতবার জয়ের দোরগোড়ায় এসে জয় মুখ ফিরিয়ে চলে গেছে। ওসবে আমরা অভ্যস্তই।
এবার বিষয়টা ভিন্নতর ছিলো। বাংলাদেশ করেছে তাদের টি-টুয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান। এর আগে ক্রিকেটের ক্ষুদ্র ফরম্যাটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ১৯০ রান। সেটি আয়ারল্যান্ড এর বিপক্ষে। আজ সেবারের চেয়ে চার রান বেশি করেছে বাংলাদেশ। অন্তত আয়ারল্যান্ড এর চেয়ে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে এই স্কোর প্রশংসার দাবি করতেই পারে। কিন্তু সেটা শুধুমাত্র ম্যাচের অর্ধেকাংশ পর্যন্তই। দিন শেষে প্রশংসার পাল্লাটা ভারী হবে শ্রীলংকার পাশেই।
এতো রান করেও যে তারা জিততে দিলো না বাংলাদেশকে। উলটো তারা করলে ফেললো নিজেদের একটি রেকর্ড। রান তাড়া করে জেতায় শ্রীলংকার এটি সর্বোচ্চ রান। এর আগে সর্বোচ্চ ১৭৬ রান তাড়া করে জিতেছিলো তারা। আজকের রাতটা তাই তাদের জন্যে স্মরণীয় হয়ে রইলো।
বাংলাদেশের জন্য হলো দূর্বিষহ এক অভিজ্ঞতা। নতুনদের নিয়ে অভিজ্ঞ-পুরোনো ব্যাটসম্যান তাদের দায়িত্ব বুঝে নিলেও অভিজ্ঞ বোলাররা তার এতটুকুও দেখাতে পারেন নি। অথচ হবার কথা ছিলো উল্টোটা। সাকিব, তামিম ছাড়া দলে দেড়শ পার হওয়াটাই তো কৃতিত্বের দাবীদার। হয়ে গেলো সর্বোচ্চ রান।
বোলিং সেকশনে অনেকেই ছিলেন অভিজ্ঞ। মোস্তাফিজ, রুবেল, মাহমুদুল্লাহ কেউই রাখতে পারলেন না তাদের অভিজ্ঞতার ছাপ। বরং অভিষেক হওয়া বোলাররাই যা একটু করে দেখালেন। অনভিজ্ঞ নাজমুল নিলেন দুই উইকেট। অভিজ্ঞদের মাঝে উইকেট পেলেন কেবল রুবেল। সেটিও সংখ্যায় মাত্র এক। ফলশ্রুতিতে ১৯৩ রান করে ছয় উইকেটের হার।
পরিসংখ্যানটা এখনো বোধয় ঠিক স্পষ্ট হলো না। হারের ব্যবধানটা এতটুকুতে যদি অনুধাবন করা না যায়, তাহলে আরেকটু যোগ করতেই হয়। প্রায় দুশো রান করতে শ্রীলংকার লেগেছে ষোলতম ওভার পর্যন্ত। হাতে বাকি ছিলো বিশ বল। ভাগ্য ভালো বলতে হবে বাংলাদেশের- তারা আগে ব্যাটিং করেছিলো। সেজন্যে বিশ বল বাকি থাকতেই শ্রীলংকাকে উঠে যেতে হয়েছে। নাহলে হয়তো আড়াইশোর কাছাকাছি টার্গেট স্থির করে দিয়ে পেরেরা বাহিনী লজ্জায়ই ফেলে দিতো বাংলাদেশকে।
অন্তত পেরেরার ১৮ বলে ৩৯, কুশাল মেন্ডিসের ২৭ বলে ৫২ কিংবা সানাকার ২৪ বলে ৪২ রানের ইনিংস এই বার্তাই দেয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ ও এস
Leave a Reply