হাদীস: হযরত আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নবী করীম (সাঃ) উপস্থিত মুসল্লীদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন। তোমরা কি নামায অবস্থায় আমার সম্মুখ ভাগ দেখতে পাচ্ছ? সুতরাং আল্লাহর শপথ করে বলছি। তোমাদের সিজদা, তোমাদের রুকু কোন কিছুই আমার কাছে গোপন নয়। আমি স্পষ্টভাবে তোমাদেরকে আমার পিছনে থেকেও দেখতে পাচ্ছি। যেমন তোমাদেরকে সামনের দিক থেকে দেখতে পাই।
মসজিদে উঠে কসম করা:
হাদীস: হযরত সাহল বিন সা’দ (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কেউ যদি তার বিবির সাথে অন্য পুরুষকে দেখতে পায়, তবে সে কি তাকে হত্যা করতে পারে? এ ব্যাপারে ফয়সালা কি? অতঃপর রাসূলেপাক (সাঃ) উক্ত স্বামী-স্ত্রীকে মসজিদে উঠায়ে কসম করালেন, আমি সেখানে প্রত্যক্ষভাবে উপস্থিত ছিলাম।
নামায ঘরে বসে পড়া:
হাদীস: হযরত মাহমুদ ইবনে রবীউল আনসারী (রা) বলেন, হযরত উতবান ইবনে মালেক (রা) যিনি হযরত নবী করীম (সাঃ) এর আনসারী সাহাবীদের মধ্যে একজন বিশিষ্ট বদরী সাহাবী ছিলেন। তিনি একবার নবী করীম (সাঃ) এর দরবারে হাযির হয়ে আরজ করলেন। ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বর্তমানে আমার দৃষ্টিশক্তি লোপ পেয়েছে। আমি আমার গোত্রের ইমামতি করি। যখন বৃষ্টি-বাদল শুরু হয় তখন আমার গোত্রের এবং আমার বাড়ীর মধ্যে মাঠ-ঘাট পানিতে ভরপুর হয়ে যায়।
তখন বার্ধক্যের কারণে আমি তাদের মসজিদে এসে তাদেরকে নিয়ে নামায আদায় করতে অক্ষম হয়ে পড়ি। আমি তাই পছন্দ করছি আপনি যদি আমার ঘরে হাযির হয়ে কোন একস্থানে নামায আদায় করতেন তা হলে আমি উক্ত স্থানটি আমাদের নামাযের জন্য নির্দিষ্ট করে নিতাম। তা শুনে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাকে বললেন, ইনশাআল্লাহ!তা আমি করব
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি ঃ / শাকিল আহমেদ মোহন
Leave a Reply