জাতীয় সংসদে পেশ করা ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটকে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, ‘কি বলবো, বাজেটে বলার মতো কিছুই নাই। এটা হতাশাজনক একটা বাজেট। গরিব মানুষের জন্য এই বাজেটে কোনও সুসংবাদ নেই।’
মান্না বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে বললেন, এটা জনকল্যাণমুখী বাজেট হবে। কিন্তু জনকল্যাণমুখী কোনও প্রজেক্টইতো নাই। শিক্ষা-স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ কম, সামাজিক নিরাপত্তা নেই, বয়স্কদের জন্য কিছু নেই। বড় ধরনের ঘাটতি বাজেট। সবচেয়ে বড় কথা রাজস্ব আয় করা নিয়ে বড় ধরনের হুমকি রয়েছে। তারা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন এক কোটি লোককে করের আওতায় আনবেন।’
তিনি বলেন, এক বছর পরে রাজস্ব আদায় হবে। এই এক বছর কিভাবে চলবে। ব্যাংক থেকে নিয়ে চলবে তাও ব্যাংকে (লিকুইডিটি) তরল মানি নেই। ব্যাংকের রিফর্ম এর ওপরেও কোনও কথা বলেননি।
মান্না আরও বলেন, ‘পুঁজিবাজার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেক কথা বললেন, পুঁজি বাজারের এই এই এগুলো ঠিক করবেন। কিন্তু পুঁজি বাজার যে মারা যাচ্ছে তা নিয়ে কিছু বলেননি। উন্নয়নের ব্যাপারে এ বছরের বাজেটে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। এক কথায় এটা গতানুগতিক সাধারণ মাত্রার একটা বাজেট। আকারের দিক থেকেই শুধু বড়।
এক প্রশ্নের জবাবে মান্না বলেন, গরিব মানুষের জন্য এই বাজেটে কিছুই নাই। এত বেকারের দেশ, এত কর্মসংস্থানের অভাব, কিন্তু সেই কর্মসংস্থান নিয়ে কিছু বলা হয়নি। বললেন, ১০০ কোটি না কত টাকার একটা বরাদ্দ রেখে দেয়া হয়েছে। সেটা কিভাবে কি হবে তার কোনও ঠিক নেই। গতবার বরাদ্দ রেখেছিল, তা খরচই করেনি। এবারও খরচ করার মতো কোনও কিছু নেই। সেদিক থেকে আমি বলবো, এটা হতাশাজনক একটা বাজেট।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, তারা তো বলছে শতকরা ৫ ভাগ মূল্যস্ফীতি গ্রহণযোগ্য। ট্যাক্স কোথায় বাড়ালো কমালো তার কোনও খবরই নেই। শুধু টেলিফোন কলরেটের কথা পত্রিকায় এসেছে, সেটাতো বক্তৃতায় দেখলাম না। তা ছাড়া আমি পুরো বক্তৃতা এখনও পাইনি।
অর্থমন্ত্রী একটা কথা বলেছেন, যে ট্যাক্স এমনভাবে করবেন যাতে দ্রব্যমূল্য না বাড়ে। এটা এখন দেখার বিষয়। আর মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের বেশি হবে বলে আমার মনে হয়্।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply