তালাক দেয়ায় স্ত্রীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন প্রতারক সাবেক স্বামীর এক সহযোগী। পালানোর চেষ্টা ব্যর্থ করে ডিবি পুলিশ একজনকে ধরে ফেলেছে। এখন পুলিশ খুঁজছে মুলহোতা তালাকী স্বামীকে। বুধবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে যশোরের মণিরামপুরের লক্ষণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটক ইসমাইল হোসেন মণিরামপুর পৌর এলাকার হাকোবা গ্রামের আফতাব গাজীর ছেলে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটক ইসমাইল হোসেন ডিবি পুলিশের হেফাজতে ছিল। পুলিশ মুলহোতা ওই নারীর সাবেক স্বামী শেখ আব্দুল লতিফকে খুঁজছে। লতিফ উপজেলার রতনদিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেন শেখের ছেলে। এ ঘটনার কয়েকদিন আগে চাঁদা না পেয়ে গোবিন্দপুর গ্রামের এনামুল হোসেন নামের ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টাসহ লতিফের বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে, প্রতারণা, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় থানায় একাধিক মামলাও আছে তার বিরুদ্ধে। মামলায় একাধিকবার পুলিশের হাতে আটকও হয়েছে লতিফ।
সাবেক স্ত্রী জানান, চাকরি দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বছর তিনেক আগে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় লতিফ। পরে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করতে বাধ্য করে। পরে জানতে পারি তার একাধিক স্ত্রী রয়েছে। যেকারণে লতিফকে ডিভোর্স দিয়ে টাকা ফেরত চেয়েছি অনেকবার কিন্তু টাকা দেয়া তো দুরের কথা, নানা ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছিল লতিফ।
নানা হুমকি ধামকির ভেতর গত মাসের ২৭ তারিখে লতিফকে তালাক দেন তিনি। এরপর থেকে আবারো নানা ভয়-ভীতি দেখাতে থাকে। এরমধ্যে বুধবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল বাড়িতে ইয়াবা আছে মর্মে তল্লাসি শুরু করে। কিন্তু না পেয়ে ডিবি পুলিশ তথ্য দাতার কাছে ফোন দেয়। এরমধ্যে তার (লতিফের সাবেক স্ত্রী ) ও পরিবারের কাছ থেকে সব শুনে ডিবি পুলিশ প্রকৃত ঘটনা বুঝতে পারে।
তথ্য দাতা ইসমাইল ও ফরিদের দেখিয়ে দেয়া ওই নারীর বাড়ির বারান্দার এক কোণায় কাগজে মোড়ানো ৫০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে। এসময় পুলিশের মতিগতি দেখে পালানোর চেষ্টা করলে ইসমাইল নামে একজনকে ধরে ফেলে এবং ফরিদ নামে আরেকজন পালিয়ে যায়।
অভিযানে থাকা ডিবি পুলিশের এসআই বিপ্লব রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ইসমাইল পুরো ঘটনার সাথে জড়িতদের নাম প্রকাশ করেছে। তারই স্বীকারোক্তি মোতাবেক এই ইয়াবা নাটকের মূলহোতা শেখ আব্দুল লতিফকে খোঁজা হচ্ছে।
এলাকাবাসি জানায়, লতিফের বিরুদ্ধে চাকরি দেবার কথা বলে ৭ লাখ টাকা নিয়ে ফেরত না দেয়ায় বাবলু প্রতারনার মামলা করেন। এছাড়া ইকবাল হোসেন, এনামুল হোসেন, রীমা খাতুন, রহিমা খাতুন লতিফের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। যশোর জেলার তৎকালিন পুলিশ সুপারের মেয়ের কথা বলে গোবিন্দপুর গ্রামের মুছা নামের এক গরু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দু’টি গরু নিয়ে বিক্রি করে দেয়। এসব মামলায় একাধিকবার হাজতবাস করেছে লতিফ।
এ ব্যাপারে আব্দুল লতিফের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিবার ফোন করা হলে সাড়া না মেলায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply