হাদীস: হযরত কা’ব ইবনে মালেক (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার মসজিদে নববীতে বসে ইবনে আবি হাদরাদ এর কাছে পাওনা টাকার তাগাদা দেয়া হলো। এক পর্যায়ে এ ব্যাপারে তাদের কথাবার্তা কাটাকাটি হয়ে উভয়ের আওয়াজ বড় হয়ে গেল যা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার ঘর থেকে শুনতে পেয়েছিলেন।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ঘর থেকে দরজার পর্দা উঠিয়ে হযরত কা’বকে ডাকলেন। তখন হযরত কা’ব বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি হাযির। তিনি হাযির হলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাকে সুপারিশ করে বললেন, তোমার পাওনা অর্থের অর্ধেক ক্ষমা করে দাও। তিনি তাতে সম্মত হলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইবনে হাদরাদ (রা)কে আদেশ করলেন, যাও এখনই গিয়ে তুমি পাওনা আদায় করে দাও।
খারাপ জ্বীনের ধোকা:
হাদীস: হযরত আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা্ঃ) বলেছেন, একটি খবিস জ্বীন এক রাতে নামাযের একাগ্রতা বিনষ্ট করার জন্য আমার উপর আক্রমণ চালালো। মহান আল্লাহ তা’য়ালা আমাকে তার উপর বিজয়ী হওয়ার ক্ষমতা দান করলেন। অতঃপর আমি তাকে পাকড়াও করে মসজিদের খুটির সাথে বেঁধে রাখার ইচ্ছে করলাম। যাতে ভোর হলে লোকেরা সবাই দেখতে পায়।
কিন্তু তখন আমার ভাই হযরত সোলায়মান (আ) এর কথা স্মরণ হলো। আল্লাহ রাব্বুল আলা-আমীন পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করেছেন, সোলায়মান (আ) বলেছিলেন-
অর্থাৎ : ‘‘হে আমার প্রতি পালক! আমাকে এমন রাজত্ব দান করা যা আমার পরে যেন অন্য কারো জন্য তা সম্ভব না হয়।’’
অতঃপর তাকে অপদস্ত করে ছেড়ে দেয়া হল।
অপরাধীকে ক্ষমা করায় মুসলমান হলো:
হাদীস: হযরত আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক সময় হযরত নবী করীম (সাঃ) একদল অশ্বারোহী সৈন্য দলকে ‘নজদ’ এলাকায় প্রেরণ করলেন। তারা সেখান হতে ‘বনু হানাফিয়া’ গোত্রের এক ব্যক্তিকে পাকড়াও করে নিয়ে আসলেন। তার নাম সুমামাহ ইবনে উসল। তাকে নিয়ে এসে সাহাবারা মসজিদে নববীর খুটির সাথে বেধে রাখলেন।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মসজিদে এসে তাকে দেখতে পেয়ে বললেন, তোমরা সুমামাহ ইবনে উসালকে ছেড়ে দাও। অতঃপর সুমামাহ ইবনে উসালকে ছেড়ে দেয়া হল। সুমামাহ মসজিদের নিকটবর্তী একটা খুরমা বাগানে গিয়ে গোসল করে মসজিদে প্রবেশ করল এবং কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করে ইসলাম গ্রহণ করলেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি : / শাকিল আহমেদ মোহন
Leave a Reply