নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি : যশোরের বেনাপোলে ইমিগ্রেশনের তিন পুলিশ ও পুলিশের এক পাবলিক ক্যাশিয়ার পেট্রাপোল থেকে হুন্ডির ১২ লাখ টাকা নিয়ে আসার সময় বিএসএফে’র হাতে আটক হয়। পরে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ পেট্রাপোলে যেয়ে তাদের ছাড়িয়ে আনে। তবে পাবলিক ক্যাশিয়ার রুহুলকে বিএসএফ ছাড়েনি। তাকে ১২ লাখ টাকাসহ আটক করে রেখেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি বাশারের দুই ক্যাশিয়ার কনস্টেবল আজম ও রুহুল (পাবলিক) এবং কনস্টেবল রমা ও তিষা পেট্রাপোলে যান কিছু ফল কেনার জন্য। তারা পেট্রাপোল বাজারের রাকেশের কসমেটিকস দোকান থেকে ১২ লাখ বাংলাদেশী টাকা ৩টি ব্যাগে ভরে তার উপর কিছু ফল কিনে বেনাপোলে ফিরে আসার সময় বিএসএফের হাতে আটক হয়। বিএসএফ তাদের ব্যাগ তল্লাশী করে ১২ লাখ টাকা পায়। বিএসএফের একটি সুত্র জানায়, বিভিন্ন সময় আজম ও রুহুল পেট্রাপোলে আসে এবং ফল কেনার নাম করে হুন্ডির টাকা নিয়ে যায়। বিএসএফ আগে থেকেই সোর্স নিয়োগ করে। সোমবার ঘটনাটি জেনেই তাদের ব্যাগ তল্লাশি করা হয়।
খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে যান বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি বাশার। তিনি বিএসএফের সাথে দেনদরবার করে কনস্টেবল রমা, তিষা ও আজমকে ছাড়িয়ে নেয়। আর পাবলিক ক্যাশিয়ার রুহুলকে বিএসএফ আটক করে রাখে। এর আগেও আজম বেনাপোল আমড়াখালিতে হুন্ডির টাকাসহ বিজিবি’র কাছে আটক হয়েছিল। এ ব্যাপারে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি বাশারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, শুনেছি হুন্ডির টাকা ভারত থেকে নিয়ে আসার সময় রুহুল আমিন নামের একজন আটক হয়েছে। এর সাথে কোন পুলিশ সদস্য জড়িত নয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply