পঞ্চম ও শেষ ধাপে গত মঙ্গলবার ২০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়ের পাল্লাই ভারী। তিনটি উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হলেও বাকি ১৭টিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। নয়টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতেছেন। বাকি আটটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বিস্তারিত জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাছিমা লুৎফুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। এর ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এই প্রথম কোনো নারী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলেন। নাছিমা লুৎফুর রহমান পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৭৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট তানবীর ভূঁইয়া নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ১০১ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাহমুদুর রহমান মান্না চশমা প্রতীকে ৩৮ হাজার ৪৮৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোখলেছুর রহমান লিটন টিউবওয়েল প্রতীকে ২১ হাজার ৩৮৩ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবিত্রী রাণী কলস প্রতীকে ৪৮ হাজার ৮৬৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফয়জুন নাহার হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৮০৬ ভোট।
ফেনী : ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ছাগলনাইয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এনামুল হক মজুমদার এনাম তালা প্রতীক নিয়ে ৩০ হাজার ৮৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিবি জোলেখা শিল্পী কলস প্রতীকে ২৮ হাজার ৮৫৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল।
হবিগঞ্জ : শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল। গত মঙ্গলবার রাতে বেসরকারিভাবে ফল ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৬ হাজার ৯৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন আট হাজার ৫৮৮ ভোট।
খুলনা : ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী এজাজ আহমেদ বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৮১ হাজার ২১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মোস্তফা সরোয়ার নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৪ হাজার ২৫৯ ভোট। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে গাজী আব্দুল হালিম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শারমিনা পারভীন রুমা নিবাচিত হয়েছে।
নলডাঙ্গা (নাটোর) : নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে আসাদুজ্জামান আসাদ পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আহমেদ আলী শাহ পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৩৮ ভোট। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবয়েল প্রতীকে আব্দুল আলীম ১৬ হাজার ৮৮২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আকতার হোসেন পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪৪ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সেলাই মেশিন প্রতীকে শিরিন আক্তার ২৪ হাজার ৭৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসমা বিবি ১১ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়েছেন।
নেত্রকোণা : পূর্বধলা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম সুজন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি ৫৭ হাজার ৭৫৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকে মাছুদ আলম তালুকদার টিপু পেয়েছেন ৩৪ হাজার ২৪৭ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে শেখ রাজু আহমেদ চশমা প্রতীকে ২৩ হাজার ৩৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নূরুল আমিন খান পাঠান শওকত পেয়েছেন ২২ হাজার ৬২৩ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুমী আকন্দ কলসী প্রতীকে ২৭ হাজার ২৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনি কর্মকার পেয়েছেন ২৪ হাজার ১৭২ ভোট।
সিরাজগঞ্জ : কামারখন্দ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শহিদুল্লাহ সবুজ ঘোড়া প্রতীকে বিজয়ী হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মতিন চৌধুরী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭৮৯ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সেলিম রেজা চশমা প্রতীকে ১৮ হাজার ৪৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জয়নাল আবেদীন মণ্ডল টিউবওয়েল প্রতীকে ১৬ হাজার ১৬ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোছা. সম্পা বেগম।
সুনামগঞ্জ : জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইউসুফ আল আজাদ বিজয়ী হয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল করিম শামীমকে দুই হাজার ৬৮৫ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন তিনি। ইউসুফ আল আজাদ পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮৫ ভোট ও বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল করিম শামীম ২৮ হাজার ৪০০ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও ভাই চেয়ারম্যান পদে মাইক প্রতীক নিয়ে আকবর হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে দিনা রাণী তালুকদার বিজয়ী হয়েছেন।
বরগুনা : তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজবি-উল-কবির জোমাদ্দার ২৭ হাজার ৮৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মনিরুজ্জামান মিন্টু পেয়েছেন ১০ হাজার ৯১৩ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ২১ হাজার ৯৫ ভোট পেয়ে বেসরকারি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল করিম বাবুল পাটোয়ারী পেয়েছেন ছয় হাজার ৬০১ ভোট এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনিকা নাজনীন ১৪ হাজার ৫৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামরুন্নাহার সাথী পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪০৪ ভোট।
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) : আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ ৪৭ হাজার ৬৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বদ্বী হোসাইন মোশারেফ সাকু নৌকা প্রতীকে ২১ হাজার ৩৯৮ ভোট পেয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান সিফাত ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাসরিন জাহান বিজয়ী হয়েছেন।
রাজবাড়ী : কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটো আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৭ হাজার ২০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুরে আলম সিদ্দিকি হক মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ২২ হাজার ৪৩৮ ভোট পেয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. এনায়েত হোসেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকে মোছা. ডলি পারভীন বিজয়ী হয়েছেন।
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) : রাঙ্গাবালীতে ১১ হাজার ৬৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মো. জহির উদ্দীন আহম্মেদ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেন পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৬৭ ভোট।
মাদারীপুর : সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ওবাইদুর রহমান কালু খান ৬১ হাজার ৭০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজল কৃষ্ণ দে পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৫৬৪ ভোট। ওবায়দুর রহমান কালু খান সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের ভাই। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনিরুল ইসলাম তুষার ভূঁইয়া তালা প্রতীকে ৮৭ হাজার ৮৫৬ ভোট এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নার্গিস আক্তার ৬৭ হাজার ১৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
শেরপুর : নকলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৩৯ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ পেয়েছেন ২৪ হাজার ৮৮৩ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সারোয়ার আলম তালুকদার এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফরিদা ইয়াসমিন নির্বাচিত হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ : কটিয়াদীতে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মুশতাকুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১৬ হাজার ৩৮৭ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী তানিয়া সুলতানা নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩১৬ ভোট।
গাজীপুর : সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট রীনা পারভীন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৮৬৫ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা ইজাদুর রহমান চৌধুরী পেয়েছেন তিন হাজার ৮০৭ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিয়াজ উদ্দিন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা সরকার নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজশাহী : পবায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুনসুর রহমান। তিনি ৩৫ হাজার ৫১৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী আশরাফুল হক পেয়েছেন ছয় হাজার ৬১১ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওয়াজেদ আলী খান। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেত্রী আরজিয়া বেগম।
গাইবান্ধা : সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আশরাফুল আলম সরকার। তিনি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৪৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী খয়বর হোসেন সরকার পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩৬৩ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সফিউল ইসলাম পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আসাদুজ্জামান মনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৪৬ ভোট।
এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উম্মে সালমা পেয়েছেন ২৮ হাজার ৪৮০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আল্পনা রানী গোস্বামী পেয়েছেন ১৮ হাজার ৬৮০ ভোট। ভোট কাস্টিং হয়েছে ১৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ। পঞ্চম ধাপের এ নির্বাচনে উপজেলার ১১১টি ভোটকেন্দ্রে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহন শেষ হয় বিকেল ৫টায়। ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ভোটার রয়েছেন তিন লাখ ৩৯ হাজার ২১৮ জন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন পাঁচজন।
নারায়ণগঞ্জ : বন্দর উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম রশিদ। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাতীয় পার্টির সানাউল্লাহ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শালিমার হোসেন শান্তা।
নোয়াখালী : সদরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন এ কে এম সামছুদ্দিন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নূর আলম সিদ্দিকী রাজু ও মহিলা ভাই চেয়ারম্যান পদে নিলুফা মমিন জয়ী হয়েছেন।প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ ও চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ভোটগ্রহণ হয়। এর মধ্যে চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ছয়টি উপজেলায় এবং তৃতীয় ধাপেও চারটি উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো ভোট বর্জন করে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply