এবারের কোপা আমেরিকা শিরোপার সবচেয়ে বড় দাবিদার ছিল ব্রাজিল। সেভাবে খেলেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে নাম লিখিয়েছিল তারা। ফাইনালি লড়াইয়েও ছন্দময় ফুটবল উপহার দিলেন সেলেকাওরা। পেরুকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে কোপা চ্যাম্পিয়ন হলেন তারা।
এ নিয়ে ল্যাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নবমবার শিরোপা ঘরে তুললো ব্রাজিল। নেপথ্য নায়ক গ্যাব্রিয়েল জেসুস। নিজে গোল করে এবং সতীর্থকে দিয়ে করিয়ে ২০০৭ সালের পর দলকে কোপা ট্রফি জেতালেন তিনি। যদিও আনন্দের দিনে বিষাদময় অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। একপর্যায়ে লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
রিও ডি জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হয় ব্রাজিল-পেরু। শুরু থেকেই শৈল্পিক ফুটবল উপহার দেয় সাম্বা দল। ১৫ মিনিটে প্রথম সুযোগেই এগিয়ে যায় তারা। পায়ের কারিকুরিতে দুজনকে ফাঁকি দিয়ে ডান দিক থেকে ক্রস বাড়ান জেসুস। অরক্ষিত অবস্থায় থাকা এভারটন দারুণ দক্ষতায় তা ধরে বল পাঠান জালে। এই আসর দিয়েই পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে আসা এ ফরোয়ার্ডের এটি তৃতীয় গোল।
পিছিয়ে পড়ে আক্রমণের গতি বাড়ায় পেরু। স্বাগতিক শিবিরে আক্রমণের ঝড় তোলে তারা। মুহুর্মুহু আক্রমণে ব্রাজিলিয়ানদের ব্যতিব্যস্ত রাখেন পেরুভিয়ানরা। এবার সাফল্যও পেয়ে যায় তারা। ৪৪ মিনিটে পাওলো গেররেরোর সফল স্পট কিকে সমতায় ফেরে পেরু। ডি-বক্সে থিয়াগো সিলভার হাতে বল লাগলে সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পরে ভিএআর প্রযুক্তিতে যাচাই করেও সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত রাখেন তিনি। ২০১৯ কোপা আসরে ব্রাজিলের জালে এটাই প্রথম গোল।
পেরুর সমতায় ফেরার স্বস্তি অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেনি। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে আর্থারের পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে তাদের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন জেসুস। আসরে এটি তার দ্বিতীয় গোল।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে চলে খেলা। গোল পরিশোধে ঝটিকা অভিযান চালায় পেরু। হন্য হয়ে গোলের খোঁজে/সন্ধানে থাকে তারা। তবে গোলমুখ খুলতে পারেনি। কিন্তু সেই রেসে ৭০ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় ব্রাজিল। পেরু ডিফেন্ডার কার্লোস সামব্রানোকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জেসুস। ফলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ব্রাজিলিয়ানরা।
অবশ্য প্রতিপক্ষের একজন কম থাকার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি পেরু। স্বার্থ হাসিল করতে ব্যর্থ হয় তারা। উল্টো নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে গোল হজম করে রিকার্দো গারেসার শিষ্যরা। রক্ষণসেনা সামব্রানো ডি-বক্সে এভারটনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে পেনাল্টি দেন রেফারি। সফল স্পট কিকে স্কোরলাইন ৩-১ করেন ফিরমিনোর বদলি নামা রিশার্লিসন।
এর আগে সবশেষ ২০১৩ সালে কোনো শিরোপা জিতেছিল ব্রাজিল। একই ভেন্যুতে ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের ফাইনালে স্পেনকে ৩-০ গোলে হারায় তারা। ৫ বছর পর কোনো বড় টুর্নামেন্টের শিরোপায় চুমু আঁকলেন তিতের শিষ্যরা।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply