লিবিয়া উপকূল থেকে আগত ৬৫ অভিবাসন প্রত্যাশীকে আশ্রয় দিতে সম্মত হয়েছে ইউরোপ। জাহাজ থেকে উদ্ধারের পর তারা আপাতত দ্বীপরাষ্ট্র মাল্টার আশ্রয়ে আছেন। রোববার (৭ জুলাই) ইউরোপীয় কমিশন ও জার্মান সরকারের সঙ্গে আলোচনা শেষে মাল্টার প্রধানমন্ত্রী জোসেফ মাস্কাট গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘খুব শিগগিরই তাদের ইউরোপের বিভিন্ন অংশে পুনর্বাসন করা হবে।’
এর আগে অভিবাসীদের বহনকারী আরো দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ ইতালির বন্দরে ভিড়তে চেয়েছিল। যদিও কর্তৃপক্ষ তাদের এই আবেদন তাৎক্ষণিক নাকচ করে দেয়। এই জলযান দুটির একটি জার্মান পতাকাবাহী উদ্ধারকারী জাহাজ ‘অ্যালান কুর্দি’। এটি পরিচালনা করে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা সি-আই। শনিবার (৫ জুলাই) ইতালি বন্দরে ভেড়ার অনুমতি না পাওয়ায় জাহাজটির কর্মকর্তারা জানান, জাহাজে আরোহী অভিবাসীদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। যাদের খুব দ্রুত জরুরি চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজন।
পরবর্তীতে যদিও জাহাজে থাকা এসব অভিবাসীদের নিজেদের উপকূলে ভিড়তে অনুমতি দেয় মাল্টা। দেশটির নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, রোববার পৃথক ঘটনায় আরো অন্তত অর্ধশতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এ দিকে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সিহোফার জানান, দুটি জাহাজ থেকে উদ্ধারকৃত অন্তত ৪০ অভিবাসীকে আশ্রয় দিতে চায় তার দেশ। মূলত মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য জাহাজগুলোকে বন্দরে ভিড়তে দিতে ইতালির প্রতি আহ্বান জানান তিনি। অপর দিকে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘প্রিয় জার্মান সরকার আমরা বন্দর খুলে দেব না। অভিবাসীদের জন্য যদি কিছু করতে পারি তা হলো একটি গাড়িতে করে তাদের জার্মান দূতাবাস পর্যন্ত নিয়ে যেতে। ভূমধ্যসাগরে পরিচালিত মানবিক সংগঠনগুলো উত্তর আফ্রিকার পাচারকারী দলগুলোকে মানব পাচারে উৎসাহিত করছে।’
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply