বাড়তি ওজন কমিয়ে নিজেকে ফিট রাখার জন্য অনেকেই ডায়েট করেন। কিন্তু ভুল ভাবে ও ভুল ধারণা নিয়ে ডায়েট করার কারনে সৃষ্টি হয় নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা। ডায়েট করতে হলে জানতে হবে কোন খাবার টি খাওয়া উচিত, কত টুকু খেতে হবে। তবে অনেকেই ওজন কমানোর জন্য একেবারে না খেয়ে থাকেন যা মোটেই ঠিক না। একেবারে না খেয়ে থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতার সৃষ্টি হয়। ওজন কমানোর জন্য কোন কাজ টি করা উচিত, কোন টা উচিত নয়, সে সব নিয়ে ই আজকের আয়োজন।
শর্করা জাতীয় খাবার বাদ:
বাড়তি ওজন কমানোর জন্য শর্করা জাতীয় খাবার কে বাদ দিতে হবে। তবে ওজন কমানোর জন্য ক্রাশ ডায়েট করা যাবে না। ক্রাশ ডায়েটে স্বল্পমেয়াদের জন্য শর্করা জাতীয় খাবার বাদ দিতে বলা হয়। পরবর্তীতে ওজন কমার পর যখন বেশী পরিমাণে শর্করা হয় তখন তৈরি হয় দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা। শর্করা শুধু মাত্র ভাত,ফাস্ট ফুড,পাস্তা ইত্যাদিতে থাকে না,শাক,সবজি,বাদাম,গমেও থাকে। তবে শাক,সবজি,বাদাম, গম জাতীয় খাবারে যে শর্করা থাকে এটি শরীরের জন্য উপকারী। এই জাতীয় শর্করা জাতীয় খাবার বাদ দেওয়া যাবে না, কমাতে হবে ফাস্ট,ভাত,পাস্তা জাতীয় খাবার।
চর্বি মানেই খারাপ নয়:
চর্বি জাতীয় সব খাবার শরীরের জন্য খারাপ সেটা সঠিক নয় বরং শরীর কে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত চর্বি জাতীয় খাবার খেতে হবে। জলপাইয়ের তেল,অ্যাভোক্যাডো,বাদাম,নারকেলের মাখন,পনির জাতীয় খাবার শরীরের জন্য উপকারী। চর্বি জাতীয় খাবার একেবারে বাদ দিলে শরীর যেমন ভেঙে যেতে শুরু করবে,ঠিক তেমনি শরীরের চামড়া কুঁচকে যাবে।
বাদ দিতে সামান্য চিনিও:
ওজন কমানোর জন্য চিনির ব্যবহার একদম কমানো মেনে নিতে চান না অনেকেই।তারা মনে করেন সামান্য একটু চিনি খেলে কিছু ই হবে না। কিন্তু সামান্য একটু চিনি, অল্প একটু পানীয়,
কালো কফি খেতে ভালো লাগে বলে অনেকে নিয়মিত খান। কিন্ত সামান্য একটু চিনিও শরীরের জন্য খারাপ। এর ফলে যেমন স্বাস্থের ক্ষতি হয়,তেমনি ওজনও বৃদ্ধি পায়।
ব্যায়াম করে একটু বেশী খাওয়া:
ওজন কমানোর জন্য অনেকে ব্যায়াম করেন। কিন্তু ব্যায়াম করার পর তারা মনে করেন,যেহেতু ব্যায়াম করেছেন তাই একটু বেশী খেলে সমস্যা নাই। ব্যায়াম করার পর ক্ষুধা বেড়ে যাওয়ার কারনে বেশী ক্ষেতে হয় এটিও একটি পুরনো যুক্তি। কিন্তু আপনি ব্যায়াম করে যে ক্যালরি খরচ করলেন তার থেকে যদি বেশী খান,তাহলে কোন লাভ ই হবে না। তাই ব্যায়াম করে যা খুশি তাই খেতে পারেন না কিন্তু আপনি যদি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান তাহলে আপনার জন্য উপকার হবে। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার ওজন কমাতে সহায়তা করে।
পপকর্ণ -চিপসে ক্ষতি:
পপকর্ণ এবং চিপস জাতীয় খাবারে পেট ভরে বলে অনেকে মনে করেন পপকর্ণ -চিপস অনেক বেশী খেলেও সমস্যা নাই। বেশী খেলেও কোন ওজন বাড়বে না বলে মনে করা হয়। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা। পপকর্ণ চিপস তৈরিতে ব্যবহৃত অতিরিক্ত লবণ,ঘি,তেল বা মাখন থাকার কারনে এগুলো খাওয়া উচিৎ নয়।
কফি খেতে হবে ভেবেচিন্তে:
উচ্চ ক্যালরি এবং চিনিতে পরিপূর্ণ এক পাণীয় হচ্ছে কফি। সেক্ষেত্রে যদি কফি পান করতে চান তবে এর সাথে বাদামের দুধ ও দারুচিনি দিয়ে খেতে পারেন। ব্ল্যাক কফি যারা খেতে পারেন না তারা এর সাথে মধু দিয়ে খেতে পারেন। যদি আপনি দিনে কয়েকবার কফি খাওয়ার অভ্যাস কে পরিবর্তন করতে পারেন তবে আপনি খুব সহজেই সপ্তাহে ১৬০০ ক্যালরির থেকে বেশী ওজন কমাতে পারবেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply