দেশের ওয়ানডে ম্যাচে এক ভরসার নাম, মাশরাফি বিন মুর্তজা। শুধু ভালো বোলিং নয়, তিনি দক্ষ পরিকল্পনায় দলকে সাজান, দলের খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণ করেন উপযুক্ত নেতৃত্বে। মাশরাফি বিন মুর্তজাকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও ফেরাতে চেয়েছিল বিসিবি। তখন যে একটু আশা জাগেনি তা নয়। মাশরাফিকে আবারও এ সংস্করণে দেখার প্রহর গুনছে সবাই।
কিন্তু মাশরাফি না ফেরায় আক্ষেপটা তাই বেড়েই চলছে। লিস্ট ‘এ’তে যে পেসার উইকেটের মালা গেঁথে চলছেন, তিনি আর যাই হোক আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির মঞ্চে অন্তত খারাপ করতেন না! ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এবার সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকা দেখলেই ব্যাপারটা পরিষ্কার। দেশের ওয়ানডে অধিনায়কের পারফরম্যান্স দেখে মনে হচ্ছে জাতীয় দলে ব্যস্ততার কারণে ঘরোয়া ক্রিকেটে সময় দিতে না পারার আক্ষেপটা এবার সুদে-আসলে তুলে নেবেন! তা নয় তো কী? ৭ ম্যাচে এ পর্যন্ত মাশরাফির শিকার ১৯ উইকেট! শুধু উইকেট শিকারেই নয় তালিকার শীর্ষ পাঁচ বোলারের মধ্যে স্ট্রাইক রেট এবং ইকোনমি রেটেও শীর্ষে মাশরাফি।
প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে আজও যেমন তাঁর শিকার ৪১ রানে ৪ উইকেট। মূলত মাশরাফির তোপেই আড়াই শ রানের নিচে (২৪৬) গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। দুই ওপেনার মেহেদী মারুফ ও মেহরাব হোসেন জুনিয়রকে তুলে নেওয়ার পর শেষ দিকে সাজ্জাদুল ইসলাম ও শরিফুল আলমকেও ফেরান আবাহনীর এ পেসার। এ নিয়ে সর্বশেষ তিন ম্যাচে তাঁর শিকার ১২ উইকেট! মোহামেডানের বিপক্ষে ৩ উইকেট নেওয়ার আগে শেখ জামালের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন মাশরাফি।
অবশ্য অাজ মাশরাফির দল জিততে পারেনি। ৯ উইকেটে ২৩৭ রানেই থেমে গেছে আবাহনীর ইনিংস। ৯ রানের জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক। দিনের অন্য খেলায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৯৫ রানে হারিয়েছে শেখ জামাল। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ২৬৫ রান তুলেছিল শেখ জামাল। জবাবে ১৭০ রানেই গুটিয়ে যায় গাজী। অপর ম্যাচটি টাই হয়েছে! মোহামেডান স্পোটিংয়ের ২৮৬ রান তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৬ রান দরকার ছিল প্রাইম দোলেশ্বরের। প্রথম দুই বলে দুই উইকেট হারালেও শেষ চার বলে ৫ রান নিয়ে ম্যাচ টাই করে দোলেশ্বর।
প্রিমিয়ার লিগে এ নিয়ে ৭ ম্যাচ খেললেন মাশরাফি। এর মধ্যে শুধু রূপগঞ্জ ও ব্রাদার্স তাঁকে খালি হাতে ফেরাতে পেরেছে। মানে, এ দুটি দলের বিপক্ষে ম্যাচে উইকেটশূন্য ছিলেন মাশরাফি। সব মিলিয়ে ম্যাচপ্রতি তাঁর শিকার গড়ে ২.৭১ উইকেট। প্রথম ম্যাচে খেলাঘরের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। কলাবাগানের বিপক্ষে পরের ম্যাচে ৪ উইকেট, এরপর দুই ম্যাচ খালি হাতে ফেরার জ্বালাটা মিটিয়েছেন শেখ জামালের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে। যেকোনো ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে প্রায় দুই বছর পর কোনো ম্যাচে ৫ উইকেটের মুখ দেখেছিলেন মাশরাফি।
আজও কিন্তু তাঁর ৫ উইকেট নেওয়ার সুযোগ ছিল। তা না হলেও কে জানে, হয়তো পরের ম্যাচেই পাবেন। তাতে মাশরাফিকে টি-টোয়েন্টিতে দেখতে না পাওয়ার আক্ষেপটা বাড়বে বৈ কমবে না!
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply