দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, এই ষড়যন্ত্রকে আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। যদি এ ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করতে না পারি তাহলে দুই বিষধর সাপ (বিএনপি-জামায়াত) সুযোগ পেলেই আমাদের ছোবল দেবে।
শনিবার (০৩ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাৎবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক যড়যন্ত্রকারীদের বিচারের দাবি করেন নানক।
তিনি বলেন, আগস্ট মাস এলেই শুধু শোকাবহ নয়,বাঙালি জাতি আতঙ্কিত হয়। এই আগস্ট মাস এলেই মনে পরে ৭৫ এর ১৫ আগস্টের কথা। আগস্ট মাস এলেই মনে পরে, খালেদা-নিজামীদের চার দলীয় জোট ক্ষমতার আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেট হামলা চালিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে আবার তারা ক্ষমতা দখল করে এদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। আজকে আমাদের পরিষ্কার কথা, বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত, অপারেশনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছে। এবারের ১৫ আগস্টে আমাদের উদাত্ত আহ্বান থাকবে জাতীয়-আন্তর্জাতিক যড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
নানক বলেন, যড়যন্ত্র হচ্ছে, যড়যন্ত্র চলছে। আজকে যখন বাংলাদেশে পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়ে চলেছে তখন অপপ্রচার চালায় মানুষের মাথা লাগবে। আজকের বাংলাদেশে মা যখন তার সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করাতে যায় তখন গণ পিটুনি দিয়ে অপপ্রচারকারী ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে পিটুনি খেয়ে লাশ হয়ে ফিরে আসে। কাজেই এই ষড়যন্ত্রকে আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। যদি ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করতে না পারি তাহলে আমাদের সঙ্গে যে দুই বিষধর সাপ (বিএনপি-জামায়াত) চলছে তারা সুযোগ পেলেই আমাদের ছোবল দিবে। এই বিষধর সাপ দুটি আমাদের গণজাগরণ দেখলেই গর্তে ঢুকে যায়। এই বিষধর সাপদের সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে। বিএনপি-জামায়াতকে রাজনৈতিক মাঠ থেকে নিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার, আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলো একযোগে কাজ করছে জানিয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ডেঙ্গুতে ফিলিপাইনে লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। পাঁচশতাধিক মানুষ সেখানে মারা গেছে। চীনের মত দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবে দেখা দিয়েছে। যখন ডেঙ্গুর কথা আসে তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেখে নাকি জরুরি অবস্থা জারি করতে হবে। কি কারণে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করতে হবে? বাংলাদেশের মানুষ এখন সচেতন। বাংলাদেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষেরা সকল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ঐক্যবদ্ধ ভাবে ডেঙ্গু মোকাবেলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি মূহুর্তে লন্ডন থেকে খবর রাখছেন। নিদের্শনা দিচ্ছেন, সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। যেভাবে আমার জঙ্গিবাদকে মোকাবেলা করেছি, জনগণের সহযোগিতায় এই মরণব্যাধি ডেঙ্গুকেও আমারা পরাজিত করবো।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply