বর্তমান সময়ে একটি বিবাহিত সংসার গড়তে এবং ভাঙতে যেন সময় লাগে না। দীর্ঘদিন প্রেম করে ঘর বাঁধার পরও কোন কোন সম্পর্ক ভেঙে যায় খুব ই দ্রুত। নারী ও পুরুষেরা বর্তমানে বিবাহিত সম্পর্ক থাকার পরও অন্যের সাথে পরকীয়া করছে। তবে প্রবাদ বলছে,”সংসার সুখের হয় রমণী গুণে।”
তাই স্ত্রীরা তাদের কিছু কাজ বা গুণ দিয়ে স্বামী কে মুগ্ধ করতে পারেন। কোন স্বামী যখন স্ত্রীর প্রতি মুগ্ধ হয় তখন সেই সংসারে সুখ ব্যতীত অন্য কিছু থাকে না। কোন নারী কিছু কাজের মাধ্যমে খুব সহজে তার স্বামীর হৃদয়ে হয়ে উঠতে পারবেন চিরস্থায়ী রাণী। তাহলে জানা যাক কি সেই কাজগুলো-
১.বিশ্বাস:
সংসার বা যে কোন ধরনের সম্পর্ক ভালো রাখার সবচেয়ে বড় উপাদান হচ্ছে বিশ্বাস।পরস্পরের মাঝে বিশ্বাস না থাকলে একটা সম্পর্ক কখনই টিকে থাকে না।স্বামীর মনের মত হতে হলে স্বামীর উপর অগাধ বিশ্বাস থাকাটা খুবই জরুড়ি।যা এখনকার সম্পর্কগুলোর মাঝে দেখা যায় না। অবিশ্বাস একটা সংসার ধ্বংসের মূল কারণ।
২.পরিপাটি থাকা:
সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর প্রতিটা পুরুষই তার জীবন সঙ্গীর সুন্দর হাসিমাখা মুখ দেখে সকল ক্লান্তির অবসান করতে চায়।তাই স্বামীর ভালোবাসা অর্জন করতে চাইলে সকল ব্যস্ততার মাঝেও নিজেকে পরিপাটি বা পরিষ্কার রাখা জরুরী।
৩. পছন্দের খাবার রান্না করা:
কর্মময় জীবনে বেশীর ভাগ পুরুষকে কাজের জন্য বাহিরের খাবার খেতে হয়। স্বামীর ভালোবাসা অর্জনের জন্য ছুটির দিন বা যেটুকু সময় তিনি বাসায় থাকে তখন তার পছন্দের খাবার রান্না করে তার সামনে পরিবেশন করুন।এতে স্বামীর মনে আপনার জন্য ভালোবাসা বেড়ে যাবে।
৪.ভালো আচরণ:
একটা সংসারে টুকিটাকি ঝামেলা থাকতেই পারে,তবুও পরস্পর পরস্পরকে বোঝার চেষ্টা করুন।স্বামীর সকল প্রকার সমস্যা গুলো অনুধাবন করুন এবং অকারণে রাগারাগি না করে ভালো আচরণ করে সমস্যা সমাধানের জন্য স্বামীকে অনুপ্রেরণা দিন।
৫. শ্রদ্ধাবোধ:
বর্তমান সম্পর্কগুলোতে একে অপরের উপর কোন প্রকার শ্রদ্ধাবোধ দেখা যায় না। সংসারে সুখি হতে হলে পরস্পরের মাঝে শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হয়।আপনি আপনার স্বামীকে শ্রদ্ধা করুন দেখবেন আপনার স্বামীর থেকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা দু’টোই পাবেন।
৬. উপহার:
উপহার বিনিময়ে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে আরো মধুর করে তুলা যায়। তবে উপহার বলতে সবমসময় দামী কিছুকেই বুঝায় না। বিশেষ দিনগুলোতে ছোট ছোট উপহার দিয়েও আপনি আপনার স্বামীর মনে আপনার জন্য আরো অধিক ভালোবাসা তৈরী করতে পারবেন।
৭.ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি রাখা:
সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য এবং ভুল বোঝাবুঝি থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু না। স্বামীর ভুলগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে সরাসরি কথা বলে মীমাংসা করে নিন।
৮. শারীরিক সম্পর্ক
বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্ক একটি পবিত্র বন্ধন। দাম্পত্য জীবনে সুখি হতে চাইলে এবং স্বামীর মনের মত হয়ে উঠতে হলে শারীরিক মেলমেশার সময় আপনি আপনার স্বামীর সকল চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করুন এবং তাকে সময় দেন। এতে সংসার জীবনে আপনাদের সম্পর্ক অটুট থাকবে চিরদিন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply