ধর্ষণে ব্যর্থ হয়েই বোন রূপাকে গলাটিপে হত্যার পর সিটি টাওয়ারের ১৪ তলা থেকে নিচে ফেলে দেয় সৎ ভাই যুবায়ের আহমেদ সম্রাট।
রোববার (১১ আগস্ট) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত করছেন মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক আরিফুল ইসলাম।
যুবায়েরের জবানবন্দির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সিটি সেন্টারের বহুতল ভবন দেখানোর কথা বলে রূপাকে নিয়ে যান সম্রাট। সেখানে একটি রুমে নিয়ে রূপার শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেন। এতে রূপা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে সম্রাট তার গলা টিপে ধরেন। এক পর্যায়ে রূপা মারা যান। পরে লাশ গোপন করতেই ১৪ তলা থেকে রূপাকে নিচে ফেলে দেন যুবায়ের। অপরাধ গোপন করতে তিনি নিজেই সৎ বোনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
এসআই আরিফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ময়নাতদন্ত শেষে নিহত রূপার লাশ তার পরিবারের কাছে দেয়া হয়েছে। ঢাকাতেই তার লাশ দাফন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১০ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর মতিঝিলের ৩৭ তলা সিটি সেন্টারের ১৪ তলা থেকে পড়ে তানজিনা আক্তার রূপার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার সৎভাই যুবায়ের আহমেদ সম্রাটকে আটক করে পুলিশ। স্বজনরা বলেছেন, নিহত রূপা রাজধানীর গোড়ানের আলী আহম্মেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের বাসা খিলগাঁওয়ে।
এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে নিহত তানজিনা আক্তার রূপার মা সালেহা আক্তার বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় যুবায়েরকে একমাত্র আসামি করা হয়। মামলাটির তদন্ত করছেন মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক আরিফুল ইসলাম।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply