জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রথম নারী সাধারণ সম্পাদক হতে চান ডালিয়া রহমান। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কোথাও গেলে তার গাড়িবহরের সঙ্গে স্কুটি নিয়ে থাকতেন ডালিয়া। তিনি খালেদা জিয়ার ‘স্কুটি সঙ্গী’ হিসেবে রাজনৈতিক মহলে পরিচিত।
১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন ডালিয়া রহমান। মঙ্গলবার তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। কাউন্সিলররা ভোট দিলে ছাত্রদলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন নারী সংগঠনটির সম্পাদক হবেন।
ডালিয়া রহমানের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা গেছে, তিনি ছাত্রদলের সবশেষ কমিটির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়বিষয়ক সহসম্পাদক পদে ছিলেন। এরও আগে তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বেসরকারি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি ও এলএলএম করেছেন। ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের আওতায় তিনি এলএলবি অনার্স করছেন।
ডালিয়া রহমানের ফেসবুকের ইন্ট্রুতে লেখা- আমি গর্বিত একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে। জানা গেছে, ডালিয়া রহমানের বাবা একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা ও কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলা যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
ডালিয়ার ফেসবুকে দলীয় কর্মসূচিতে তার সক্রিয় অংশগ্রহণের বেশ কিছু ছবিও পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি ছবিতে দেখা গেছে, চোখে রোদচশমা, গায়ে লাল টি-শার্ট ও জিন্সপ্যান্ট পরে স্কুটি চালাচ্ছেন রাজপথে। দেখে বোঝা যাচ্ছে দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে প্রটোকল দিচ্ছেন।
ডালিয়া রহমান একা স্কুটি নিয়ে খালেদার গাড়িবহরে সঙ্গী হয়ে দৃষ্টি কেড়েছিলেন দলীয় নেতাকর্মীদের। খালেদা আদালতে যাওয়ার পথে তার ‘মোটরসাইকেল প্রটোকল রাইড’ দৃষ্টি কাড়ত সবার। গাড়িবহরের ঠিক সামনে একাই থাকতেন ডালিয়া। লুকিং গ্লাসে পেছনে দেখতেন তার প্রিয় নেত্রীকে।
খালেদা জিয়া যতবার আদালতের পথে গুলশানের বাসা থেকে রওনা দিয়েছেন, ততবার তার গাড়ির সামনে স্কুটি নিয়ে যুক্ত হয়েছেন বহরের একমাত্র নারী বাইকার ডালিয়া।
এ বিষয়ে ডালিয়া রহমান জানান, যতবার খালেদা জিয়া আদালতের পথে বের হয়েছেন, ততবার তিনি সঙ্গী। কিন্তু এখন দুঃখ লাগে, কারাগারে থাকায় খালেদার সঙ্গী হতে পারেন না তিনি। এ বেদনা তাকে প্রতিদিন পীড়িত করে। আর এ জন্যই খালেদার মুক্তির জন্য তিনি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হতে চান। সারা দেশের ছাত্রসমাজকে নিয়ে রাজপথের আন্দোলন চান।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বের হয়ে গণমাধ্যমকে ডালিয়া বলেন, ‘আমার সাহস আছে। আছে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি। দুঃসময় পাড়ি দিতে নেতৃত্বে আসতে চাই। তৃণমূলের ভোটাররা আমাকে সমর্থন দিচ্ছেন।’
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সূত্র জানায়, এবার দলের নেতৃত্ব নির্বাচনে বড় ধরনের চমক থাকবে। বিশেষ করে দলের নেতৃত্বে তরুণদের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। সেই ধরনের তারুণ্য খুঁজছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। ডালিয়া রহমান সাধারণ সম্পাদক হবেন কিনা তা ঠিক হবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের ভোটে।
প্রসঙ্গত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করার জন্য আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শীর্ষ দুই নেতা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। যাতে সারা দেশের ছাত্রদলের ১১৭টি সাংগঠনিক ইউনিটের ৫৮০ কাউন্সিলর ভোট দেবেন। ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিলে শীর্ষ দুই পদের জন্য ৭৬ প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ২৭ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৯ জন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply