কামরান আহমেদ রাজীব কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার প্রাইভেট ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নে মহিষকুন্ডি মা এই ক্লিনিকে দীর্ঘদিন ধরে সেবার নামে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। মা প্রাইভেট ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট আলিম দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত। নবনির্বাচিত স্বাস্থ্য বান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে সঠিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে তার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি করে বলেন বাংলার অবহেলিত বঞ্চিত মানুষ যাতে কোনো ধরনের হসপিটালে যেয়ে প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা।
থেকে বঞ্চিত না হয়। তারই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী তার দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলেন প্রতিটি রোগী যাতে কাঙ্খিত সেবা পায়, তা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। ঢাকা রাজধানীসহ রোগীদের সুসেবার দৃশ্যমান পরিলক্ষিত হলেও কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলায় পুরোটাই ব্যতিক্রম দেখা যায়। সূত্রে জানা যায় দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা রোগীরা এই সিন্ডিকেট চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে । বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা প্রকৃত চিকিৎসা সেবা পাওয়া থেকে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ রয়েছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কে সঠিক চিকিৎসা প্রধান না করে বিভিন্ন ভাবে দালাল মারফত প্রভাবিত করে তাদের নিজ নিজ কথিত প্রাইভেট ক্লিনিকের ভিজিটিং কার্ড হাতে ধরিয়ে দিয়ে উক্ত ক্লিনিকে ভর্তি হতে বাধ্য করে। কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিসে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় দৌলতপুরে প্রাইভেট ক্লিনিক পরিচালনা করার জন্য যে সমস্ত।
কাগজপত্র প্রয়োজন অনেকটাই রয়েছে অনিয়ম। সিন্ডিকেট চক্রের প্রাইভেট ক্লিনিকে কোন ভাবে রোগী ভর্তি করতে পারলেই অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। প্রাইভেট হসপিটাল গুলোতে নেই কোন দক্ষ ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নার্স বা সার্জন তারা নিজেরাই অপারেশন করে সার্জনের কাজটি সম্পন্ন করে আর নার্সের কোন সার্টিফিকেট নাই কাগজপত্র নাই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নয়। মা ক্লিনিকে ইতোপূর্বে ভুল চিকিৎসা ও অদক্ষতার কারণে চিকিৎসা নিতে আসা অনেক রোগী লাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে। মহিষ কুন্ডি সহ পুরো দৌলতপুর উপজেলায় সচেতন মহলের মাঝে প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোর পড়ে ক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে এর আগে ভুল চিকিৎসার।
কারণে তামিম প্রাইভেট ক্লিনিকে একজনের মৃত্যু হয় হয় ভুল চিকিৎসার কারণে রোগীর মৃত্যুর প্রতিবাদে তরিকুলের তানিম প্রাইভেট ক্লিনিকে ভাঙচুর করে ঘটনার প্রেক্ষিতে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ম্যানেজ করে পুনরায় আবার সেবার নামে প্রতারণা বাণিজ্য উঠে পড়ে গেছে বলে এলাকার মানুষের মুখে মুখে বনে গেছে। এর আগে মহিষ কুন্ডির মা ক্লিনিক এর স্বত্বাধিকারী মেডিকেল দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন মা ক্লিনিক মালিকের নাম আব্দুল আলিম এর অবহেলায় রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ভাগজোত গ্রামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এটাই শেষ নয় আবারো ১৯-০৮-১৯ একজন রোগী ভর্তি হয় মহিষ কুন্ডি কাস্টম বাজার দুইদিন পর সেই।
নবজাতকের ভুল চিকিৎসার কারণে আবারও মৃত্যু হয় । নবজাতকের পিতার নাম কনক মন্ডল গ্রাম ভাগজোত কাস্টম বাজার ও নবজাতকের দাদার নাম আবদুল ওয়াহিদ মন্ডল তিনি বলেছেন যে সমস্ত নার্স আমার বৌমাকে ভুল ইনজেকশন দিয়ে সব স্বপ্ন নষ্ট করে দিয়েছে এই মা ক্লিনিক আমাদের রত্ন কে কেড়ে নিয়েছে আমরা এর বিচার চাই । এই দুর্নীতিবাজ কথিত ডাক্তাররা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিনামূল্যে বিতরনের জন্য গরীব রোগীদের না দিয়ে রাতের আধারে তাদের প্রাইভেট ক্লিনিকে বিতরণ করার অভিযোগ রয়েছে।
দৌলতপুরের সর্বস্তরের জনগণ অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ সহ ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর তদন্ত করে বিচারের দাবি Iতবে চিকিৎসা সেবার মত প্রতিষ্ঠানে সতর্কতা আর নিয়ম নীতি অবলম্বন না করে শুধু টাকা কামানের মেশিন বানালে তখন সেখানে সেবার পরিবর্তে অপরাধ জন্ম নেয়। ডাক্তার হয়ে উঠে কসাই আর ডাক্তারখানা হয় কসাইখানা। সেই অপরাধ যারা ঢাকা দিতে মরিয়া হয়ে উঠে তারাও অপরাধী।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply