নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি : বেনাপোল আবারও স্থল বন্দরে অগ্নিকান্ডে প্রায় ১ কোটি টাকার পন্য পুড়ে ছাই হলো। এ আগুনের সুত্র পাত ঘটে বেনাপোল স্থল বন্দরের ৩৫ নং শেডে। আগুনে ওই শেডে রাখা আমদানিকৃত কেমিক্যাল পন্য পুড়ে যায়। এ সময় বন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট, বন্দরের শ্রমিকরা এক যোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রনের জন্য। সকাল ১০ টার সময় বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট এসে আধাঘন্টা কাজ করে আগুন সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রনে আনেন। অগ্নিকান্ডে সংঘটিত ৩৫ নং শেড বেনাপোল বন্দরের পরিচালক প্রদোষ কান্তি দাস সহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। বেনাপোল বন্দরের শ্রমিকরা বলেন, হঠাৎ
কেমিক্যাল ষ্টোর ( গোডাউন ) ৩৫ নম্বরে আগুনের সুত্র পাত দেখা যায় বলে জানান। তখন আমরা আগুন নিয়ন্ত্রনের জন্য গ্যাস ব্যবহার করি। এরপরে বেনাপোল স্থল বন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট এসে কাজ করে। কিছু সময় পর বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট এসে আগুন সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন। এই বন্দরের ৩৫ নং শেডের ইনচার্জ মনির হোসেন বলেন, এখানে লিকুইট কেমিক্যাল ছিল। কিভাবে এই কেমিক্যাল পন্য আগুন এর সুত্র পাত ঘটেছে তা তদন্ত না করে বলা যাবে না। এই ঘটনায় এক প্রশ্নের
জবাবে তিনি বলেন, কত টাকার পন্য পুড়েছে তাও এই মুহুর্তে বলা বলা সম্ভব না। তবে তিনি ওই শেড খোলার আগে সেখানে আগুন জ্বলছিল বলে জানান। বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ (সুমন হোসেন) জানান, বেনাপোল বন্দরের ৩৫ নং শেডে আগুনের কাজ আধা ঘন্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রনে চলে আসে। তবে আগুনের সুত্রপাত ঘটেছে তা এই মুহুর্তে বলা যাবে না।এই বন্দরের একটি সুত্র জানায়, লিকুইট পন্যর ছাড়কারক মুন মুন শিপিং নামে একটি সিএন্ডএফ। বেনাপল স্থল বন্দরেরর পরিচালক( প্রদোষ কান্তি দাস) জানান , আগুন এখন সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। কি কারনে আগুন লেগেছে তা তদন্ত না করে কিছু বলা যাবে না। এর জন্য একটি তদন্ত কমিটি
গঠন করা হবে। আগুন ধরার ঘটনা বন্দর চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। আগুন লাগার কারন উদঘাটনের জন্য ৭ সদস্যর একটি কমিটি ঘটন করার জন্য তালিকা প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান।সাত সদস্যের প্রধান কাকে করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুমোদন না হলে বলা যাবে না।
Leave a Reply