সিলেট জৈন্তাপুর উপজেলায় ধর্ষণের অভিযোগে সেজুল আহমদ নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গেল শুক্রবার গভীর রাতে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। পরদিন শনিবার গ্রেফতার যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জৈন্তাপুর উপজেলার ৪নং দরবস্ত ইউনিয়নের শুকইনপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে সেজুল আহমদের সঙ্গে সিলেট শহরের পীর মহল্লার এক গৃহবধূর পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। একই সঙ্গে ওই গৃহবধূর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সেজুল আহমদের ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গৃহবধূর বাসায় সবসময় যাতায়াত ছিল সেজুলের। এর সুবাদে ওই গৃহবধূকে নিজের বাড়ি দাওয়াত করে সেজুল।
শুক্রবার বিকেলে সেজুলের বাড়ি যায় ওই গৃহবধূ। কিন্তু গৃহবধূকে নিজের বাড়ি না রেখে পাশের নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে নিয়ে যায় সেজুল। সেখানে রাত ২টা পর্যন্ত গৃহবধূকে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে সেজুল।
পরে কৌশলে পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানায় গৃহবধূ। খবর পেয়ে নির্মাণাধীন বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার ও সেজুল আহমদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সকালে ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই সঙ্গে বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় মামলা করেন গৃহবধূ।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বণিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ অভিযান করে নির্মানাধীন বাড়ী হতে ধর্ষণকারীকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজরে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply