নাটোর সদর উপজেলার কলেজছাত্রী জেসমিন আক্তার হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্ত আলম হোসেন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা সাংবাদিকদের সামনে এ তথ্য প্রদান করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, হালসা মাহেষা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আলম হোসেনের সাথে হালসা গ্রামের জমসেদ আলীর পালিত মেয়ে জেসমিন আক্তারের কলেজ যাওয়ার পথে পরিচয় ঘটে। আলম জেসমিনের কাছে তার মোবাইল নম্বর চাইলে সে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে আলম হোসেন জেসমিনের কলেজে গিয়ে তার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তার সাথে প্রতিনিয়ত কথা বলা শুরু করে। এরপর আলম জেসমিনকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে জেসমিন তা প্রত্যাখ্যান ক’রে মোবাইল
ফোনে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় আলম একটি মোবাইল ফোন ও সিম কিনে জেসমিনকে দিয়ে সেই নম্বরে আবার যোগাযোগ শুরু করে। এর এক পর্যায়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১ টার দিকে জেসমিনের সাথে দেখা করতে তার বাড়িতে যায়। জেসমিন দরজা খুলে দিলে আলম ঘরে ঢুকে আবারও বিয়ের প্রস্তাব দিলে জেসমিন এক বছর পর বিয়ে করবে বলে জানায়। কিন্তু আলম তাতে রাজি না হওয়ায় উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আলম হোসেন জেসমিনকে গলা টিপে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply