শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের কারণে দেশের প্রায় সব রুটে সকাল থেকে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত যেসব নৌযান গন্তব্যের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছিল সেগুলো গন্তব্যে গিয়ে যাত্রী নামানোর পর চলাচল বন্ধ রেখেছে। দেশের বিভিন্ন রুট থেকে সদরঘাটে আসা লঞ্চ ও জাহাজ যাত্রী নামিয়ে দিয়ে পন্টুন থেকে সরিয়ে নদীর মাঝখানে নিয়ে নোঙর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের দফতর সম্পাদক প্রকাশ দত্ত বলেন, ‘আমাদের ১১ দফা দাবি যৌক্তিক। আমরা যৌক্তিক আন্দোলন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে। সব ধরনের নৌযান বন্ধ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রাত থেকে কার্যকর হওয়া ধর্মঘট সকাল থেকে পুরোদমে কার্যকর হয়েছে। কারণ গতকাল বিকালে ও সন্ধ্যায় বিভিন্ন রুট থেকে যেসব লঞ্চ ছেড়ে আসছিল সেগুলো যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। এখন এসব নৌযান পন্টুন ছেড়ে নদীতে নোঙর করে আছে।’
এদিকে নারায়ণগঞ্জ, চাঁদুপর, বরিশাল, পটুয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নৌবন্দর ও লঞ্চ টার্মিনালগুলো থেকে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে আমাদের জেলা প্রতিনিধিরা নিশ্চিত করেছেন।
সরেজমিনে সদরঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ভোর থেকে বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ভান্ডারিয়া, ঝালকাঠি, স্বরূপকাঠী, হুলারহাট, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন রুট থেকে জাহাজ ও লঞ্চ এসেছে। সেগুলো যাত্রী নামিয়ে দিয়ে বুড়িগঙ্গায় নোঙর করে রেখেছে। পন্টুনে কোনও লঞ্চ নেই। সদরঘাটের ১ ও ২ নম্বর পন্টুনে কয়েকটি বড় জাহাজ দেখা গেলেও সেগুলো ৯টার দিকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
সদরঘাটে বিভিন্ন পন্টুন ও জাহাজে শ্রমিকদের আড্ডা দিতে দেখা গেছে। এদের মধ্যে কয়েকজন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে বেতনভাতার নিশ্চয়তার কথা বলছি। তা মানা হয়নি। প্রতিবারই বলা হয়েছে, আমাদের যৌক্তিক সব দাবি মানা হবে। তবে কোনও দাবি মানা হয়নি।’
তবে আগে থেকেই নৌযান ধর্মঘটের ঘোষণা থাকায় শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে সদরঘাটে তেমন কোনও যাত্রী দেখা যায়নি।
Leave a Reply