দুধ বা দই থেকে সর, ঘি মাখন, ছানা, ঘোল ইত্যাদি নানা রকমের খাদ্যবস্তু তৈরি হয়। সুস্থ থাকবার জন্যে এগুলোরও অনেক উপকারিতা আছে।
দুধের সর বা মালাই : আয়ুর্বেদ মতে দুধের সর তৃপ্তি দেয়, বল বৃদ্ধি করে, পুষ্টিকর, ঠাণ্ডা। ক্ষয়রোগ উপশম করে, রতিশক্তি বৃদ্ধি করে, মেধা ও স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেয় কিন্তু সহজে হজম হয় না অর্থাৎ দুষ্পাচ্য। বায়ু ও পিত্ত রোগে দুধের সর উপকার দেয়। যাঁরা মাথার কাজ করেন তাঁদের যদি সহ্য হয় তাহলে তাঁদের পক্ষে খুবই লাভদায়ক। যাঁরা অজীর্ণ রোগে ভুগছেন তাঁদের মালাই বা সর না খাওয়াই ভাল।
ক্ষীর :
আয়ুর্বেদ মতে বায়ুর পক্ষে শান্তিকর, শুক্রবৃদ্ধি করে, ঘুম বাড়িয়ে দেয় কিন্তু গুরুপাক। বলা হয়ে থাকে ক্ষীরের তৈরি খাবার পিত্তনাশক।
ঘোল :
জল না মিশিয়ে বা অল্প জল মিশিয়ে দইয়ের সর বা মাখন তুলে না নিয়ে মণ্হন করলে ঘোল তৈরি হয়। মিশ্রি মেশানো ঘোল খুব উপকারী। ঘোল ত্রিদোষ অর্থাৎ কফ, বাত, পিত্ত নাশ করে। অনেক অসুখেই ঘোল পথ্য হিসেবে খেতে দেওয়া হয়। তবে মূর্চ্ছা ও রক্তপিত্ত রোগে ঘোল ভাল নয়। এর রকম অভিমত আছে।
ছানা :
ছানাকে সংস্কৃত ভায়া্য় বলা হয় তক্রপিণ্ড বা তক্র কুর্চিকা। অনেকের মতে ছানা মাছ, মাংসের চেয়েও পুষ্টিকর। বাসী ছানা দুষ্প্রাচ্য কিন্তু টাটকা বা সদ্য তৈরি নরম ছানা সহজে হজম হয় ও পুষ্টিকর, খাদ্য হিসেবে খুব মূল্যবান।
পুষ্টিতত্ত্ববিদদের মতে , ছানার জলেরও অনেক উপকারিতা আছে। কাজেই তা ফেলে না দিয়ে পানীয় হিসেবে খেয়ে নেওয়া উচিত বা জলের বদলে মাংস, তরকারি, ঝোল, ডাল, স্যুপ ইত্যাদিতে মিশিয়ে দেওয়া উচিত। যাতেই মেশানো হোক তা আগে অল্প জলে সেদ্ধ করে তারপরে ছানার জল মেশাতে হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply