ধনে পাতা আলাদাভাবে রান্না না করে হলেও নানা তরকারি ও ডালের ওপর ছড়িযে দেওয়া হয়। এতে স্বাদ গন্ধ দুই-ই বৃদ্ধি পায়। ধনে পাতা বাটা বা ধনে পাতার চাটনি খেতে খুবই ভাল লাগে। ধনে পাতা ও কাঁচা লন্কা একসঙ্গে বেটে লেবুর রস ও নুন মিশিয়ে চাটনি তৈরি করা হয়। এই চাটনি খেতে রুচিকর, শরীর ঠাণ্ডা করে। সাধারণভাবেও ধনে পাতার আছে শরীর ঠাণ্ডা করবার গুণ।
আজকাল ধনে পাতা ডাল, তরকারি, আলু ভাতের সঙ্গে মেথে, মাছ মাংস ডিম ইত্যাদি আমিষ পদে, স্যালাডে, চাটনি তৈরি করে, ভাতের সঙ্গে বেটে খাওয়ার ঝোঁক খুব বেড়ে গেছে। কাঁচা ধনে পাতার বিশেষ সুগন্ধের জন্যে প্রায় সকলেই ধনে পাতা খুব পছন্দ করেন। তা ছাড়া গ্রীষ্মকালে দাম বেড়ে গেলেও শীতকালে ধনেপাতা খুবই সস্তা।
ডাল তরকারি যাতেই ধনে পাতা মেশানো হোক রান্না করে নামিয়ে তারপরে দিতে হয় কারন আঁচে বসিয়ে রাখলে ধনে পাতার গন্ধ আর থাকে না।
ধনে পাতা শুধু যে খেতে ভাল তা নয়, ধনে পাতার আছে নানান রকম ঔষধি গুন। ধনে পাতা রুচিবর্ধক, পিত্তের গরম বা দাহ দূর করে, সহজে হজম হয় এবং অন্য খাবার ও হজম করায়। নোনতা খাবারে মেশালে খাবার রুচিকর, সুগন্ধিত হয়, খাওয়ার ইচ্ছে জাগৃত করে। ধনে পাতার চাটনি খুবই সুস্বাদযুক্ত।
সুস্থ থাকতে ধনে পাতার প্রয়োগ:
১। ধনে পাতার রস খেলে স্রাবযুক্ত অর্শের(অর্থাৎ যে অর্শ থেকে রক্ত পড়ছে) কষ্ট উপশম হয়।
২। ধনে পাতা বেটে সেই রস পরিষ্কার কাপড়ে ছেঁকে নিয়ে ফোঁটা ফোঁটা চোখে সকাল ও সন্ধেবেলা দিলে চোখের ব্যথার উপকার হয়।
৩। ধনে পাতার রস বায়ু নাশ করে ও খিদে বাড়িয়ে দেয়। সেই জন্যে এই পাতা খেলে শরীর ঝরঝরে বা তরতাজা থাকে।
৪। বসন্ত রোগে ধনে পাতার রস চোখে দিলে চোখে বসন্তের গুটি বেরোয় না।
৫। ধনে পাতা চিবিয়ে সেই পাতা দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁতের মাড়ি দৃঢ় বা মজবুত হয়। দাঁতের ঢিলে মাড়ি শক্ত হয়ে যায় এবং রক্তপড়া বন্ধ হয়।
৬। ধনে পাতার প্রলেপ লাগালে গরমের জন্যে ফোলা দূর হয়। চুলকুনি ও পাঁচড়াতে লাগালে ও উপকার হয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply