বাংলাদেশে ৪দিনের সফর শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলন করেন বলিউড তারকা ও ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
গত ২১ মে, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ঢাকা আসেন এবং এর পরপরই কক্সবাজার চলে যান। গত ৩ দিন এ বলিউড তারকা কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় বেশ কয়েকটি রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে, রোহিঙ্গা সংকট বিশেষ করে স্বাভাবিক জীবন থেকে বঞ্চিত হাজার হাজার রোহিঙ্গা শিশুকে রক্ষায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজর দেয়া ও পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘গোটা বিশ্বকে এ ব্যাপারে নজর দিতে এবং পদক্ষেপ নিতে হবে। রোহিঙ্গা শিশুদের ব্যাপারে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দায়িত্ব রয়েছে।’
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের ভূমিকার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রতি এদেশের সরকারের ব্যাপক সমর্থন ও সহায়তা দেখে আমি অভিভূত।’
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে আলাপচারিতার কথা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘এটি আমার জন্য একটি জীবন পরিবর্তনকারী সফর।’
প্রিয়াঙ্ক আরো বলেন, ‘৭ লাখ শরণার্থীর মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ শিশু। তারা খুব দুঃসহ পরিস্থিতির মধ্যে জীবনযাপন করছে। তাদের স্থায়ী আশ্রয়, বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানি, খাদ্য এবং মৌলিক শিক্ষার ব্যবস্থা নেই।’
রোহিঙ্গা শিশুদের আরো সহায়তা দেয়ার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের সুযোগ-সুবিধার অভাবে রোহিঙ্গা শিশুরা দ্রুত একটি হারিয়ে যাওয়া প্রজন্মে পরিণত হবে।
এই মানুষগুলোর জীবনের অনিশ্চয়তার পরেও মিয়ানমার সকারের কোনো মাথাব্যথা কার্যত দেখা যাচ্ছে না। বরং তাঁরা এদের ফিরিয়ে নিতে গড়িমসি করছে। আন্তর্জাতিক মহলের চাপ সৃষ্টি করে মিয়ানমারকে এই জনগোষ্ঠী ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করা উচিৎ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply