রবিবার কনজ্যুমার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মোঃ আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ রুল জারি করে। এর আগে গত ২৩ মে ক্যাবের ভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন এ রিট দায়ের করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। চার সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি, বিইআরসির চেয়ারম্যান ও বিদ্যুত সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৩ নবেম্বর গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে ৩৫ পয়সা বৃদ্ধি করে। শতকরা হিসেবে গড়ে এই দর বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল পাঁচ দশমিক তিন ভাগ। বিল মাস ২০১৭ ডিসেম্বর থেকে বর্ধিত এই দর কার্যকর হয়েছে।
আদালত রুল জারির পর জ্যোর্তিময় বড়ুয়া পরে সাংবাদিকদের বলেন, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বিইআরসি গণশুনানি করে। আইন অনুযায়ী শুনানি করার ৯০ দিনের মধ্যে একটি লিখিত আদেশ দেয়ার কথা। কিন্তু সে রকম কোন আদেশ না দিয়ে ২৩ নবেম্বর গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়া হয়। বিইআরসির ওই সিদ্ধান্ত আইন অনুযায়ী না হওয়ায় তা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। আদালত প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছে।’
দাম বৃদ্ধির আদেশে বলা হয় ২০১৫ সালের তুলনায় পাইকারিতে প্রতিইউনিটে বিদ্যুতের দাম ৬ পয়সা করে কমানো হয়।
তখন পাইকারি দর না বাড়লেও বিতরণ কোম্পানির জন্য বিদ্যুতের দাম পুনর্বিন্যাস করা হয়। দাম বৃদ্ধির আদেশে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) এবং নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) বিদ্যুতের ক্রয়মূল্য কমানো হয়। অন্য বিতরণ কোম্পানির ক্ষেত্রে তা বাড়ানো হয়েছে।
বিদ্যুতের দাম ক্রমেই সাধারন মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এই সাধারন মানুষগুলোই। আদালত থেকে এই দাম বাড়ানোর বিষয়টা যদি একটা শৃঙ্খলার আওতায় নিয়ে আসা হয় তবেই এই অবস্থা থেকে জনগন মুক্তি পেতে পারে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply