প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা মুক্তিযুদ্ধের সময় কলাপাড়ায় সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। সেই স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো ঘুরে দেখেন তিনি। বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখার এক ফাঁকে বেলা আড়াইটার দিকে কলাপাড়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি। এ সময় তিনি বলেন, খুলনায় একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা কিছু সামান্য ত্রুটিবিচ্যুতি পাওয়া গেছে, তাৎক্ষণিক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো আন্তর্জাতিক মানের এবং গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
তিনি বলেছেন, তাঁর কমিশনের সময় সব নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে। শনিবার পটুয়াখালীর কলাপড়ায় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এ মন্তব্য করেন।
কে এম নুরুল হুদা আরও বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করাই হচ্ছে তাঁর কমিশনের প্রধান কাজ। নির্বাচন কমিশন স্বতন্ত্রভাবে সে কাজ করে যাচ্ছে। তফসিল ঘোষিত সব নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করা হবে। এ ক্ষেত্রে শতভাগ এবং সুষ্ঠুভাবে সব নির্বাচন করার চেষ্টা তাঁর কমিশনের রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। এ সময় সিইসি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
সিইসি আজ কলাপাড়ায় এসে প্রথমে উপজেলা সার্ভার স্টেশন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে নির্বাচন কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। এরপর তিনি কলাপাড়ার দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার এলাকা পরিদর্শন ছাড়াও নবনির্মিত শহীদ শেখ কামাল স্মৃতি কমপ্লেক্স অডিটোরিয়াম ঘুরে দেখেন।
এ সময় নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা ফারুক, পটুয়াখালী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান খলিফা, কলাপাড়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার, কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তানভীর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বদিউর রহমান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, পর্যায়ক্রমে কলাপাড়া উপজেলায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কলাপাড়া উপজেলায় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের স্মৃতি রোমন্থন করেন। এ সময় মুক্তযুদ্ধকালীন একত্রে যুদ্ধ করা স্থানীয় কয়েকজন সহযোদ্ধাকে কাছে পেয়ে তিনি আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন।
হাজার মুক্তিযোদ্ধার প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। এই বাংলার মাটিতে মিশে রয়েছে তাঁদের অসংখ্য গৌরবগাঁথা স্মৃতি- যা কখনো মুছে যাবে না বাঙ্গালির হৃদয় থেকে। এত রক্তের বিনিময়ে পাওয়া দেশটির প্রতি আমরা আরো একটু দায়িত্বশীল হলেই আরো দ্রুত এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply