ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন। ১৯২১ সালের এই দিনে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভ সূচনা হয়। শতাব্দী ছুঁই ছুঁই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ অঞ্চলে উচ্চ শিক্ষা বিস্তারসহ বুদ্ধিবৃত্তিক জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখে আসছে। বাঙালির জাতিসত্তা বিকাশ, বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এই বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করছে।’
আবদুল হামিদ বলেন, ‘ঐতিহ্য ও গৌরবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাই কেবলই উচ্চ শিক্ষার পাদপীঠ নয়, জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের কেন্দ্রস্থলও। আগামীতেও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-গবেষকরা তাদের মেধা, সৃজনশীলতা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণে আরও অবদান রাখতে সমর্থ হবেন।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার ধারক ও বাহক।
বৈশ্বিক পরিবর্তনে জাতীয় আকাঙ্ক্ষারও পরিবর্তন ঘটেছে। সেই আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে, জাতি তা প্রত্যাশা করে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে উচ্চ শিক্ষা’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির সঙ্গে যথাযথ হয়েছে।’’
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন ও ধারণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকরা তাদের মেধা, মনন, দেশপ্রেম, প্রজ্ঞা ও মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিজেদের আত্মনিয়োগ করবেন, যা জাতিকে বিশ্বের গৌরবময় অবস্থানে নিয়ে যাবে।’
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে মেধা, মনন এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিজেদের আত্মনিয়োগ করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, আর শিক্ষার্থীরা হলেন সেই মেরুদন্ডের বাহক। এই নবীন শিক্ষার্থীদের তাই মুক্তিযুদ্ধের দীক্ষায় বড় হয়ে উঠতে হবে। দেশ ও জাতির কল্যানে আত্মনিয়োগের মাধ্যমেই কেবলমাত্র শিক্ষা পরিপূর্ণতা পায়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply