নিরাপদ সড়কের দাবীতে চলছে আন্দোলন। আন্দোলনের ভূমিকায় নেমেছে স্কুল কলেজের ক্ষুদে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। এর মধ্যেও থেমে নেই সড়কের দুর্ঘটনা।
আজ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের কেলিয়ায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে নিহতদের কারও পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ফরিদপুর আলফাডাঙ্গাগামী সূর্য্যমুখী পরিবহণের যাত্রীবাহী বাসের (পাবনা-ব-১১-০০১২) সঙ্গে ধামরাইয়ের ঢুলিভিটাগামী সেতু পরিবহণের একটি পোশাক শ্রমিকবহনকারী বাসের (ময়মনসিংহ-ব-০৫-০০০৪) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এসময় দুটি বাসের সামনের অংশ চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই পুরুষ তিনজন যাত্রী নিহত হন এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে আরও একজন মারা যায়। এসময় আহত হয় আরও ২০ জন।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর সাহেব আলী জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের কর্মীরা আহতদের মধ্যে মনিরা খাতুন, আব্দুর রফিক, করিম, মামুন, তপনসহ ১২ জনের অবস্থা আশংঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পরই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ইউনুস আলী, বায়েজীদসহ অনেকে জানান, সেতু পরিবহণের বাসের চালক ও হেলপার ছিল ১৩-১৪ বছরের অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং ওই বাসটির মালিক ধামরাইয়ের চন্দ্রাইল এলাকার নয়ন মিয়া।
এদিকে আহতদের প্রথমে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো নেয়া হলে সেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় স্থানীয় জনতা বিক্ষোভ করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাজনীন আক্তার জানান, ছুটিরদিন হওয়ায় চিকিৎসক ও নার্সের সংকট রয়েছে। এরপরও ১১ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চারটি অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পরিবহন ব্যবস্থায় অনিয়ম যেন কমছেই না। এত আন্দোলন বিক্ষোভের পরেও অপ্রাপ্ত বয়স্ক লাইসেন্স ছাড়া মানুষদের বসিয়ে দেয়া হচ্ছে চালকের আসনে। ফলশ্রুতিতে ঘটছে দুর্ঘটনা।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ ও এস
Leave a Reply