দ্রুতগতির পেট্রোল বা গ্যাসোলিন গাড়ির ইন্ডাস্ট্রিকে বেশ বড় ধাক্কা দিয়েছে টেসলার নতুন গাড়ি। এরকম দ্রুতগতির গাড়ি এর আগে কখনো দেখেনি বিশ্ব। তাও আবার ইলেকট্রিক গাড়ি। ইলেকট্রিক গাড়ির এমন ক্ষিপ্ত গতি সত্যিই অবিশ্বাস্য। সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলেসের এয়ারপোর্ট সড়কে লাল চকচকে রঙের টেসলার নতুন এই গাড়ির গতি উপস্থিত সবাইকে বিস্মিত করেছে। যা মাত্র ১.৯ সেকেন্ডে ০ থেকে ঘণ্টায় ৬০ মাইল (১০০ কিলোমিটার) গতি দেবে।
বিস্ময়কর দ্রুত গতির এই গাড়ির আরো বড় একটি চমক হচ্ছে, মাত্র একবারের চার্জে ৬২০ মাইল (১০০০ কিলোমিটার) ভ্রমণ করা যায়! যা ইলেকট্রিক গাড়ির ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন রেকর্ড।
টেসলার ‘রোডস্টার’ স্পোর্টস গাড়ির উন্নত সংস্করণ এটি। ২ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের নতুন এই রোডস্টার স্পোর্টস গাড়িতে ৪ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। রিমুভেবল গ্লাস রুফ (ছাদ খোলা যায়) ফিচারের এই গাড়ি মাত্র ১.৯ সেকেন্ডে ঘণ্টায় ৬০ মাইল (০ থেকে ১০০ কিলোমিটার) গতি তুলতে পারে এবং সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৫০ মাইল (৪০০ কিলোমিটার)।
এতদিন সবচেয়ে দ্রুতগতির ইলেকট্রিক গাড়ি হিসেবে পরিচিত ছিল চীনের তৈরি নিও ইপি৯, যার সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৯৪ মাইল (ঘণ্টায় ৩১০ কিলোমিটার)।
ঘণ্টায় ০ থেকে ৬০ মাইল গতিবেগ সম্পন্ন টেসলার নতুন গাড়ি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম গাড়ি, যা নন-ইলেকট্রিক অর্থাৎ পেট্রোল চালিত দ্রুততম গাড়ির তুলনায়ও দ্রুততর। অর্থাৎ এ বছরে বাজারে আসা বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততর স্পোর্টস গাড়ি হিসেবে খ্যাত ফ্রান্সের বুগাত্তি চিরন গাড়ির চেয়েও বেশি গতিসম্পন্ন।
চিরন উক্ত দূরত্ব অতিক্রম করতে ২.৩ সেকেন্ড সময় নেয়, যা নতুন রোডস্টারের তুলনায় ০.৪ সেকেন্ড ধীর গতির। এর কারণ হচ্ছে, জ্বালানি ইঞ্জিন তাৎক্ষণিকভাবে ঘূর্ণন সঁচারক বল শক্তি উৎপাদন করতে পারে না, যেটা ইলেকট্রিক গাড়ি পারে।
টেসলার নতুন রোডস্টার ইলেকট্রিক গাড়িটিতে ৩টি মোটর রয়েছে, সামনে ১টি এবং পেছনে ২টি। ২০০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা ক্ষমতার ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়েছে।
নতুন রোডস্টার গাড়ির প্রথম ১০০০ গাড়ির দাম পড়বে প্রতিটি ২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। পরবর্তী গাড়িগুলোর দাম শুরু হবে ২ লাখ মার্কিন ডলার থেকে। ২০২০ সালে বাজারে আসবে বিস্ময়কর গতির টেসলার নতুন এই ইলেকট্রিক গাড়ি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / কাউসার।
Leave a Reply