রোববার ঈগল পরিবহনের এক বাসের নিচা চাপা পড়ে মর্মান্তিকভাবে নিহত হন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার।
রাজধানীর মিরপুরে বাসে এসআইএর নিহতের মামলায় ঈগল পরিবহনের চালক বেলাল হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলী থানার এসআই খোকন চন্দ্র দেবনাথ আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ সময় আসামি বেলাল হোসেনের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকাল পৌনে চারটার দিকে রাজধানীর চিড়িয়াখানা সড়কের রাইনখোলা এলাকার ঢালে বাসের চাপায় নিহত হন উত্তম কুমার। জব্দ করা ঈগল পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব- ১৪-৬৮২৮) বাসটি নিয়ে সামনে মোটরসাইকেলে করে থানার দিকে যাচ্ছিলেন উত্তম। তার পরনে পুলিশের পোশাক ছিল।
রাইনখোলা এলাকায় সড়ক কিছুটা ঢালু হয়ে নেমে গেছে। ঢালের মাঝে একটি গতিরোধক (স্পিড ব্রেকার) রয়েছে। উত্তম কুমার সেই গতিরোধক পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেলের গতি কমালে পেছন থেকে বাসটি এসে মোটরসাইকেলে ধাক্কা মারে। এতে ছিটকে পড়েন উত্তম। বাসের একটি চাকা তার শরীরের মাঝ দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই এসআই উত্তমের মৃত্যু হয়।
আরও জানা গেছে, তার বাড়ি টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে। এর দুই দিন আগে মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যায়ের এক শিক্ষকের গাড়িকে ধাক্কা দেয় ওই বাসটি। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা ব্যর্থ হওয়ায় এসআই উত্তম কুমার রবিবার চালক বেলাল হোসেনকে দিয়ে বাসটি চালিয়ে থানায় নেয়ার সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
মানুষের জীবন যেন মূল্যহীন হয়ে পড়ছে সড়কে। চলন্ত বাস হয়ে উঠছে সাক্ষাৎ মৃত্যুফাঁদ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্যে করণীয় কী, জানা নেই কারোই।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply