কারাবাসের সময় পুলিশ ও অন্যান্য মুসলিম কয়েদির ভাল আচরণে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন আবুধাবি কারাগারে থাকা ফিলিপাইনের একজন নাগরিক।
আবুধাবি ভিত্তিক খালিজ টাইমসের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে ৩০ বছর-বয়সী ওই কয়েদির নাম প্রকাশ করেনি সংবাদমাধ্যমটি। নিজ দেশে ফিলিপাইনেরই একজন নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের কারণে ওই ব্যক্তিকে বিচারের সম্মুখীন করা হয়েছে। গত ১৩ নভেম্বর তাকে আবুধাবির প্রথম বিচারকের কোর্টে হাজির হলে তিনি ইসলামে ধর্মান্তরের ঘোষণা দেন। তিনি ছিলেন একজন খ্রিস্টান। তিনি বিচারককে বলেন যে তিনি ইসলাম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- কারণ কারাগারে থাকাকালীন সময়ে পুলিশ এবং কারাগারের মুসলিম রক্ষীরা এবং অন্য মুসলিম বন্দীরা তার সঙ্গে অত্যন্ত ভাল আচরণ করেছিল; যা ছিল তার কল্পনার বাইরে।
লোকটি আরো জানান, তিনি ইসলামি বিশ্বাসের ওপর বেশ কয়েকটি বই পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। এ থেকে তিনি ইসলামি সহনশীলতার মূল্যবোধ সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছেন। এতে মানবতা ও উত্তম নৈতিকতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি মুসলমানদের মধ্যে যে ভালো ব্যবহার দেখেছি তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এ কারণে আমি সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় এবং অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে ইসলামকে আঁকড়ে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি কারাগারে কয়েক সপ্তাহ কাটিয়েছি। কারাগারের রক্ষীরা এবং আমার অন্যান্য সহকর্মীরা সত্যিই আমার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করেছে, যা আমাকে আনন্দিত করেছে। এ কারণে আমি ইসলামের শিক্ষা সম্পর্কেও শিখেছি।’ তার বিরুদ্ধে অবৈধ যৌন সম্পর্ক থাকার অভিযোগ আনেন প্রসিকিউটররা। তিনি তার বান্ধবীর সঙ্গে অবৈধ যৌন সম্পর্কে লিপ্ত ছিল বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়। আদালতের বিচারক যখন তার কাছে জানতে চান যে তিনি অপরাধী কিনা। আদালতের এই জিজ্ঞাসায় তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেন।
তিনি আদালতকে জানান, এটি যে একটি অপরাধ সে বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন না। কারণ তিনি দেশটিতে নতুন এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার বান্ধবীর সঙ্গে ছিলাম। কিন্তু আমি জানতাম না যে এটিকে এদেশে একটি অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমি আদালতের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি এই অপরাধের পুনরাবৃত্তি করব না।’
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / কাউসার।
Leave a Reply