খেলা শুরুর আগে কেউ কি ভাবতে পেরেছিলেন, এত বিশাল ব্যবধানেও হারানো সম্ভব? হয়তো খেলোয়াড়েরাও পারেননি। খেলার মাঠে তাঁরা কেবল নিজেদের ঢেলে দিয়েছেন। এতেই পাকিস্তানের বিপক্ষে রবিবার ১৭-০ গোলের অসাধারণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিতে নিশ্চিত করেছে সেমিফাইনাল। সিরাত জাহান স্বপ্না ও মার্জিয়ার হ্যাটট্রিকে পাওয়া এই জয় এখন শিরোপা অর্জনের আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে।
ম্যাচটি জিতলেও হতো না। এগিয়ে থাকতে হতো গোল ব্যবধানে। তাই বলে এত ব্যবধান, আশার চেয়েও বেশি।
খুশি ঝরে পড়ে কোচের গলায়। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে কোচ গোলাম রব্বানী বলেন, ‘জিতলেই সেমিফাইনাল, সেটা মাথায় রেখে আমরা ম্যাচ খেলতে নেমেছিলাম। আমাদের পরিকল্পনা ছিল গোল গড় বাড়িয়ে নেওয়ার। যতটা সম্ভব বেশি গোল করার। দারুণ শুরু চেয়েছিলাম আমরা প্রথম ম্যাচেই।’
মেয়েদের কৃতিত্ব দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘মেয়েরা তাদের শতভাগ দিয়ে খেলেছে। আমাদের যা পরিকল্পনা ছিল সব সফল করেছে তারা। এজন্য তাদের আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
মঙ্গলবার নেপালের বিপক্ষেও জয়ের জন্য মাঠে নামবে বাংলাদেশ। গোলাম রব্বানী বলেছেন, ‘আমাদের পরের ম্যাচ নেপাল। তারা ভালো দল। আমরা আমাদের সেরা প্রস্তুতি নিয়েই তাদের বিপক্ষে নামব এবং জয়ের জন্য খেলব।’
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭ গোল করা ফরোয়ার্ড স্বপ্নাও জানালেন সেই কথা, ‘এই ম্যাচে আমরা আরও গোল পেতে পারতাম। কিন্তু সুযোগ নষ্ট করেছি। পরের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে আমরা জয়ের জন্যই খেলব।’
আমাদের দেশে যেভাবে অনেকটা সুযোগ সুবিধা ছাড়াই এগিয়ে চলেছে মেয়েরা, এটি সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে। প্রশাসনের উচিৎ এঁদেরকে প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা দিয়ে এগিয়ে যেতে সাহায্য করা।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply