ঘটনাটি কিশোরগঞ্জের। চান্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চারিয়া ওয়ার্ডের সদস্য মো. জিয়াউর রহমান মল্লিক ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জানা যায়, এলাকার বৃদ্ধ মুর্শিদ উদ্দিনকে অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার জন্য কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে শুক্রবার বিকালে তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহ বাড়িতে এনে বাদ এশা জানাজার সময় নির্ধারণ করে মাইকিং করা হলেও গ্রামের মানুষ জানাজায় অংশ না নেয়ায় লাশ দাফন করা হয়নি।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মুর্শিদ উদ্দিন (৭৫) নামে এই বৃদ্ধের জানাজায় প্রতিবেশী ও গ্রামের লোকজন কেউ অংশগ্রহণ না করায় শুক্রবার রাতে লাশ দাফন করা যায়নি। ফলে মৃতদেহে কাফনের কাপর পরানো অবস্থায় খোলা আকাশের নিচে শুক্রবার রাত ও শনিবার দুপুর পর্যন্ত পড়ে ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের চারিয়া গ্রামে।
তিনি আরও বলেন যে, বিগত ২০ বছর আগে মুর্শিদ উদ্দিন প্রতিবেশী মো. সাইদুর রহমানের কাছে ১৪ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। মুর্শিদ উদ্দিন জমি বিক্রি করে টাকা নিয়ে তার একমাত্র মেয়ে জেসমিন আক্তারের নামে সব সম্পত্তি লিখে দেন। জেসমিন তার বাবার বিক্রি করা জমি দলিল না দিয়ে সাইদুর রহমানসহ চারজনের নামে ডাকাতির মামলা করে জেল খাটায়।
জেসমিনের স্বামী সেনাবাহিনীতে চাকরি করায় তার প্রভাবে গ্রামের বিভিন্নজনকে হয়রানি করায় বাপ-বেটির প্রতি অতিষ্ঠ হয়ে জানাজায় অংশ নেয়নি লোকজন।
শনিবার দুপুরে চান্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহতাব উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমিন খোকন, ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান মল্লিক ও কটিয়াদী পৌর কাউন্সিলর মো. জয়নাল আবেদিন আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জমির দলিল করে দেয়ার আশ্বাস দিলেও লোকজন জানাজায় অংশ না নিলে ১৪-১৫ জন লোক নিয়ে জানাজা পড়ে লাশ দাফন করা হয়। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
বিষয়টি মর্মান্তিক। মৃত মানুষের প্রতি একটু সহানুভুতিশীল হওয়া প্রত্যেকেরই প্রয়োজন। কারও এমন কিছু করা উচিৎ নয়, যেন মৃতদেহের পাশে দাঁড়িয়ে জানাজা পড়ার মতো লোক না পাওয়া যায়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply