সোমবার আসামিদের উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জের তৃতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ মোহাম্মদ আবু তাহের আট বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন- নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার আমলাব সাহাপাড়ার নজরুল ইসলাম (৩৭) ও জুয়েল ভূইয়া (৩৫)।
যাবজ্জীবনের পাশাপাশি আসামিদের ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
মামলার বিবরণে বলা হয়, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বেতাগিয়া গ্রামের আয়েস আলীর মেয়ে ২৮ বছর বয়সী দিপালীর কাছ থেকে নজরুল ও জুয়েল সুদের বিনিময়ে টাকা ধার নেন। পরে টাকা পরিশোধ না করে নানা টালবাহানা শুরু করেন তারা।
দিপালী টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দিলে ২০০৯ সালের ২ অগাস্ট আসামিরা তাকে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ফরিদপুর মাজারে আসতে বলেন। ওই দিন দুপুরে দিপালী তার পাঁচ বছর বয়সী ছেলে বশিরকে নিয়ে সেখানে যান।
তখন আসামিরা দিপালীকে মাজারের পাশে ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে তারা বশিরকে গলা টিপে ও পরে দিপালীর মাথায় হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে লাশ নদীতে ডুবিয়ে দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি আব্দুস সালাম জানান, ঘটনার দিন বিকালে কুলিয়ারচর থানার পুলিশ নদীর পাড় থেকে দিপালী ও বশিরের লাশ উদ্ধার করে।
কুলিয়ারচর থানার এসআই মুজিবুর রহমান অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
“পরে মামলাটি তদন্ত করে র্যাব। তারা দিপালীর বাড়ি থেকে নজরুলের সুদের বিনিময়ে টাকা ধার নেওয়ার চুক্তিপত্র উদ্ধার করে।”
সালাম জানান, ২০০৯ সালের ১২ অগাস্ট এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নজরুলকে আটক করা হলে তিনি হত্যার ঘটনা স্বীকার করে আদালতে জববানবন্দি দেন। পরে তার দেওয়া তথ্যে র্যাব জুয়েলকে আটক করে।
২০১২ সালের ২৩ ডিসেম্বর র্যাব-৯ ভৈরব ক্যাম্পের এসআই মো. সিরাজুল ইসলাম তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
Leave a Reply