১৬ অক্টোবর রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে আপত্তিকর মন্তব্য করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন। এ ঘটনায় রংপুরের মানবাধিকারকর্মী মিলি মায়া বাদী হয়ে গত ২২ অক্টোবর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেন।
মামলাটি আমলে নিয়ে ওইদিন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা। ফলে ওইদিন রাতেই ঢাকায় গ্রেফতার হন ব্যারিস্টার মঈনুল। পরে ২৫ অক্টোবর তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হলে আদালতে নথি না আসায় শুনানি স্থগিত করে তাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন বিচারক।
এরপর ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে রংপুরের আদালত চত্বরে নিয়ে গেলে সেখানে ডিম ও জুতা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মানহানি মামলায় গ্রেফতার ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে জামিন শুনানির জন্য রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালাতে নেয়া হলে এ ঘটনা ঘটে।
রংপুর যুব মহিলালীগের কর্মী মিলি মায়া বেগমের দায়ের করা মামলায় আদালতে ব্যারিস্টার মঈনুলকে হাজির করার সংবাদে সকাল ৯ টা থেকে রংপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গেটে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
দুপুর একটা ২০ মিনিটে জামিন শুনানি শেষে মঈনুলকে নিয়ে যাওয়ার সময় ফের তাকে লক্ষ্য করে ডিম ও জুতা ছুড়তে থাকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় অন্য মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে আসা বিএনপি ও ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মুখোমুখি হলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে আদালত চত্বরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এসময় তারা মঈনুলবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী তুহিন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রনির নেতৃত্বে নেতাকর্মীরাও বিক্ষোভে অংশ নেয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply