গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টিভির এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এক নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে প্রকাশ্যেই কটুক্তি করেন তিনি। ওই কটুক্তিতে অপ্রত্যাশিত এবং অসংলগ্নভাবে ‘চরিত্রহীন’ বলার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক মামলা হচ্ছে ব্যরিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে। তিনি কামাল হোসেনের উদ্যোগে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সক্রিয় ছিলেন।
মইনুলের পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আসামি মইনুলের জামিনের বিরোধিতা করে যুক্তি দেন।
ঢাকার মহানগর হাকিম বাকী বিল্লা সোমবার দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে তাঁর জামিন নাকচের আদেশ দেন।
এর মধ্যে রংপুরের একটি মানহানির মামলায় গত ২৩ অক্টোবর রাতে ঢাকার উত্তরা থেকে মইনুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ঢাকার হাকিম আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওইদিনই ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ দায়ের করেন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির সদস্য সুমনা আক্তার লিলি।
বিচারক এমএ জগলুল হোসেন সেদিন বাদীর জবানবন্দি শুনে তার অভিযোগ এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করতে গুলশান থানাকে নির্দেশ দেন।
লিলি তার আর্জিতে বলেন, মইনুলের ওই আক্রমণাত্মক বক্তব্য মাসুদা ভাট্টি এবং পুরো নারী জাতির জন্য ‘বিরক্তিকর, অপমানজনক, অপদস্থমূলক এবং হেয় প্রতিপন্নকর’।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই জিয়াউল ইসলামের আবেদনে ১ নভেম্বর এ মামলাতেও মইনুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
টকশোতে ওই কটূক্তির জন্য মইনুল টেলিফোন করে ক্ষমা চাইলেও মাসুদা ভাট্টি তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তা না করায় মাসুদা ভাট্টি নিজেও মানহানির একটি মামলা করেছেন মইনুলের বিরুদ্ধে।
কোনো নারীকে প্রকাশ্যে এমন মন্তব্য করা সত্যিই অবমাননাকর। আশা করা যায়, এরপর তাঁর শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply