আমাদের দেশে যত ফল পাওয়া যায় আমলা বা আমলকি বোধকরি তার মধ্যে অন্যতম।এটি তাই আয়ুবর্ধক,কল্যাণকারক,শ্রীফল, অমৃত ফল ইত্যাদি নামেও পরিছিত।বায়ু,কফ,পিত্ত হলো আমাদের শরীরের নানা রোগের মূল।আমলকি এই বায়ু, পিত্ত, কফকে নিবারণ করে। আমলকি নিয়মিত সেবনে চোখের জ্যোতি বারে, হৃদরোগ ভালো হয়। আমলকি সেবিনে যকৃত বা হৃদয় পুষ্ট হয়। আমলকিতে রয়েছে পেয়ারা এবং লেবুর তুলনায় ১০ গুণ বেশি ভিটামিনি সি। কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকির উপকারিতা নিয়ে আজকের এই ফিচার।
১) দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে ভিটামিন এ গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা সবাই জানি। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে। এক গ্লাস আমলকির রসের সাথে মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি চোখের জ্যোতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
২) রক্ত পরিষ্কার করতে এটি বেশ কার্যকর। এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান শরীর থেকে টক্সিন উপাদান সব দূর করে দেয়। নিয়মিত খাওয়ার ফলে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে।
৩) আমলকিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে। যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। এটি osteoclasts কমিয়ে দেয় যা হাড় ভাঙ্গার কারণ তৈরি করে।
৪) উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। আমলকি খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে। এবং ধমনীর ব্লক খুলে দিতে সাহায্য করে। নিয়মিত এটি খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে থাকে।
৫) গবেষণায় দেখা গেছে যে, আমলকিতে থাকা পলিফেনল রক্তে অক্সিডেটিভ শর্করা থেকে শরীর রক্ষা করে। এটি শরীরে ইনসুলিন শুষে নিতে সাহায্য করে। যা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।
৬) আমলকি ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে। এটি শরীরের প্রোটিনের স্তর বৃদ্ধি করে, যা দেহের চর্বি কাটতে সাহায্য করে।ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন আমলকি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৭) দুই টেবিল চামচ আমলকির গুঁড়ো এবং দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এটি দিনে ৩-৪ বার খান। এই মিশ্রণ গলা ব্যথা এবং ঠান্ডা দূর করতে বেশ কার্যকর।
লিখেছেনঃ /সাদিয়া শারমিন।
Leave a Reply