একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৈঠকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, অনুপ্রবেশকারীদের প্রতিরোধসহ এক ডজন নির্দেশনা দেবে কমিশন। বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় নির্বাচন ভবনে বৈঠকটি শুরু হয়।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদত হোসেন চৌধুরী ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন অাহমেদ উপস্থিত অাছেন।
জানা গেছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটকে কেন্দ্র করে নির্বাচনের মাঠের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে বিশেষ নিদের্শনা থাকবে এ বৈঠকে। থাকছে নিরাপত্তা ছক নির্ধারণসহ এক ডজনের বেশি নিদের্শনা। তফসিল ঘোষণার পর বিরাজমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এ বিশেষ সভা ডেকেছে ইসি। আইজি, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, সকল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, উপমহাপুলিশ পরিদর্শক ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) উপস্থিত অাছেন।
এ বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনপূর্ব শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে করণীয় স্থির করা। নির্বাচনী আইনের বিধান প্রতিপালনের পরিবেশ তৈরি করা। নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করা। বৈঠকের কার্যপত্রে বলা হয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সকল প্রার্থী যাতে প্রচারে সমান সুযোগ পান সেজন্য কয়েকটি বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হবে। এছাড়া নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা যাতে নির্বিঘ্নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারেন সেজন্য পুলিশ ফোর্স দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হবে।
জানা গেছে, পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কমিশনের পরিকল্পনা জানান দেবে ইসি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বেড়ে যায়। আশঙ্কাজনক হারে বাড়ে বৈধ অস্ত্রের অপব্যবহার। এমনকি কিছু গোষ্ঠী বা আন্ডারগ্রাউন্ডের সন্ত্রাসী তৎপরতা বেড়ে যায়। শুরু হয় কালো টাকার প্রভাব। এ সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার মাত্রা বেড়ে যায়। এমন সব শঙ্কা রেখে বৈঠকের আলোচ্য সূচিতে রাখা হয়েছে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, বৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞা, নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড প্রস্তুত, নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাসভবন ও অফিস কার্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদার।
এছাড়া রিটার্নিং ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়টিও আলোচ্য সূচিতে রাখা হয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই ও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন নির্ধারিত রয়েছে ৯ ডিসেম্বর।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply