গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের সাবদিন বাজারে সাবদিন মৌজার ৭৩৫ দাগের ২ শতাংশ জমি নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এঘটনায় ২ টি দোকান ভাংচুর ও লুটপাট ছাড়াও বতসবাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আহত হয়েছে ১০ হতে ১২ জন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা ও শোনা যায়, দীর্ঘদিন হতে মন্টুগং ও খেতাব গং এর মধ্যে উক্ত জমি নিয়ে দ্বন্দকোলহ চলে আসছে। দোকান ও বসতবাড়ী ভাংচুরের ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার রাত নয়টার সময় এর আগে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে এসময় উভয়পক্ষের প্রায় ১০ হতে ১২ জন নারী পুরুষ আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুত্ব আহত কাদেরর শাররিক অবস্থা অবনতির গুজব ছড়িয়ে পরে সংঘবদ্ধ হয় সাবদিন গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে খেতাব, মৃত কেরু উদ্দিনের কাদের,কাদের ছেলে সবুজ,আবু তালেবের ছেলে রফিকুল,নজিরের ছেলে সাজুসহ ৩০ -৩৫ জন তারা একত্রিত হয়ে সাবদিন বাজারে মন্টু মিয়ার ভাই শহিদুল ও আমিরুলের দুইটি দোকান ভাংচুর করে নগত অর্থ ও মালামাল লুটপাট করে। এরপর তারা দোকান মালিক শহিদুল ও আমিরুল,মন্টুর বসতবাড়ীতে হামলা করে ভাংচুর করে এসময় নারী পুরুষ সহ আরো কয়েকজন আহত হয়।
এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। ভাংচুরকৃত দোকান দুইটিতে গ্রাম পুলিশের হেফাজতে রাখে। বতমান মানে এলাকায় উভয় পক্ষের মাঝে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে সাবদিন গ্রামের আব্দুল জোব্বারের ছেলে মন্টু মিয়া জানান,আমার ভাইদের সাবদিন নতুন বাজারের দুইটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর লুটপাট,বসতবাড়ী ভাংচুর নারী পুরুষ ৭ জন আহত হয়েছে। উপরোক্ত লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন না করে পুলিশ উল্টো আমাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে। একদিকে পুলিশ ও অপরদিকে হামলাকারীদের ভয়ে আমার বাজারে কিংবা বসতবাড়ীতে থাকতে পারছি না। আমরা চাই পুলিশ সঠিক ভাবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবে।
এঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এস আই সঞ্জয় কুমার জানান,ভাংচুরকৃত দোকান মালিকগং এর বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে খেতাবগং এঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে আছে।
Leave a Reply