দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এর শিক্ষকের মেহদা নিয়ে তাই প্রশ্ন তোলার অবকাশ থাকে না। তবে কেবল মেধা থাকলেই ভাল মানুষ হওয়া যায় বিষয়টি বোধহয় সত্যি নয়। এটিই প্রমাণ হলো আরও একবার। ঢাবির এই শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে গৃহকাজে নিয়োজিত এক শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
নির্যাতনের শিকার ওই শিশু মঙ্গলবার ভোরে ফুলার রোডের শিক্ষকদের বাসা থেকে পালিয়ে ক্যাম্পাসের উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিলে পুলিশ সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার ঘটনা জানাজানি হয়।
এদিন রাতে ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী।
অভিযুক্ত শিক্ষকদ্বয় হলেন- রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোবিন্দ চক্রবর্তী এবং তার স্ত্রী ব্যবসায় প্রশাসন ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক সুতপা ভট্টাচার্য। আর নির্যাতনের শিকার শিশুর নাম আনিতা। তার গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় জেলায়।
উদ্ধারকৃত ওই শিশু এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়নে আছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবহিত। ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করছি।’
ভুক্তভোগী ও ঘটনা সংশ্লিষ্টদের একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, ওই শিশুটিকে এই দুই শিক্ষক বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। শিশুটিকে ঠিকভাবে খেতে দিতেন না। বাসার বাইরে বের হতে না দিয়ে বাসায় আটকে রাখতেন।
মঙ্গলবার ওই শিশু নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাসা থেকে বেরিয়ে পাশে অবস্থিত উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পালিয়ে আসে। পরে খবর পেয়ে উদয়ন স্কুল থেকে প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষকদ্বয়কে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।
জাতি গড়ার কারিগর এই শিক্ষকদের এমন আচরণ সত্যিই কষ্ট দেয়। প্রশ্ন জাগে, এঁরা যদি এমন করেন, সাধারণ মানুষ কী শিখবে?
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply