হাদীস: হযরত আমর ইবনে আবু হাসান (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যায়েদ (রা) কে রাসূল পাক (সাঃ) এর অযু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তখন তিনি একমাত্র পানি আনালেন এবং তাঁদের জন্য অযু করে দেখালেন। তিনি পাত্র হতে দু’হাত পানি ঢাললেন। তারপর পানি দ্বারা দু’হাত তিনবার ধুলেন।
অতঃপর পাত্রের মাঝে হাত ঢুকিয়ে নাক পরিষ্কার করলেন আবার হাত ঢুকিয়ে তিনবার চেহারা মোবারক ধুলেন। আবার হাত ঢুকায়ে দু’হাত কনুই পর্যন্ত দু’বার ধুলেন। অতঃপর হাত ঢুকিয়ে উভয় হাত সামনে এবং পিছনে একবার মাথা মাসেহ করলেন। তারপর দু’পা গিরা পর্যন্ত ধুলেন।
নবী করীম (সাঃ) এর অযুর অবশিষ্ট পানি শরীরে মাখা:
হাদীস: হযরত আবু জুহায়ফা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূল (সাঃ) আমাদের সামনে বেরিয়ে আসলেন। তাকে অযুর পানি দেয়া হলো। তিনি অযু করলেন। লোকেরা তার অযুর পানি নিয়ে শরীরে মাখতে লাগলেন। তারপর রাসূল (রা) যোহরের দু’রাকআত এবং আসরের নামাজ আদায় করলেন এবং তার সামনে ছিল একটি লাঠি।
অযুর অবশিষ্ট পানি পান করা প্রসঙ্গে:
হাদীস: হযরত সায়িব ইবনে ইয়াযীদ (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার খালা আমাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর খেদমতে হাজির হলেন এবং বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমার ভাগ্নে অসুস্থ। রাসূল (সাঃ) আমার মাথায় হাত দিলেন এবং বরকতের জন্য দোয়া করলেন। তারপর অযু করলেন।
আমি তাঁর অযুর অবশিষ্ট পানি পান করলাম। অতঃপর তাঁর পিছনে দাঁড়ালাম। এমন সময় আমি তার উভয় কাঁধের মধ্যস্থলে মোহরে নবুওয়াত দেখতে পেলাম। তা ছিল ডিমের মত।
নবী করীম (সাঃ) এর অযুর নমুনা:
হাদীস: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যায়েদ (রা) হতে বর্ণিত। একবার তিনি পাত্র হতে পানি ঢেলে উভয় হাতে ধৌত করলেন। তারপর এক আঁজলা পানি দিয়ে কুলি করলো এবং তিনবার নাকে পানি দিয়ে পরিষ্কার করলেন।
দু’হাত কনুইসহ দু’বার করে ধৌত করলেন এবং মাথার সামনের অংশ এবং পিছনের অংশ মাসেহ করলেন। তারপর গিরা পর্যন্ত দু’পা ধৌত করলেন এবং বললেন রাসূল (সাঃ) এর অযু এরূপ ছিল।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / শাকিল আহমেদ মোহন
Leave a Reply