হাদীস: হযরত আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, আমার উম্মতেরা কিয়ামতের দিন উপস্থিত হবেন হাত, পা, মুখমন্ডল উজ্জল ও নূরানী অবস্থায়। অযুর চিহ্নের কারণে তাদের ঐ অবস্থা হবে।
যে ব্যক্তি নিজের নূর বৃদ্ধি করার আশা করে তার কর্তব্য ঐ সব অঙ্গ ধৌত করা যে পর্যন্ত ধোয়ার জন্য বলা হয়েছে, তার চেয়ে একটু বেশী ধোয়া।
অযু নষ্ট হওয়ার সন্দেহে নামাজ ছাড়া যাবে:
হাদীস: আবদুল্লাহ ইবনে যায়েদ (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এক সময় রাসূলেপাক (সাঃ) এর খেদমতে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম, যার নামাজের মধ্যে অযু নষ্ট হওয়ার সন্দেহ উপস্থিত হয়।
উত্তরে রাসূল (সাঃ) বললেন, এরূপ সন্দেহ উপস্থিত হলে তাকে নামাজ ছেড়া দেয়া বা নামাজ থেকে বের হয়ে আসার প্রয়োজন নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত সে পিছনের রাস্তা থেকে কোন আওয়াজ না শুনে অথবা কোন গন্ধ না পায়।
নিদ্রা অবস্থায় নবীদের অযু যায় না:
হাদীস: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একরাতে আমার খালা হযরত মায়মুনা (রা) এর ঘরে রাত যাপন করলাম। রাত্রির কিছু অংশ চলে যাওয়ার পর রাসূলেপাক (সাঃ) নিদ্রা থেকে উঠলেন। ঘরে রক্ষিত ছোট মশক থেকে রাসূল (সাঃ) সংক্ষিপ্তভাবে অযু করলেন।
তারপর দাঁড়িয়ে নামাজ আরম্ভ করলেন। রাসূলেপাক (সাঃ) কে নামাজ পড়তে দেখে আমি ও হুজুরের ন্যায় সংক্ষিপ্তভাবে অযু করলাম। তাঁরপর আমি রাসূলেপাক (সাঃ) এর বাম দিকে এসে দাঁড়িয়ে গেলাম। অতঃপর রাসূলেপাক (সাঃ) আমাকে কান ধরে তাঁর ডান দিকে ঘুরায়ে নিয়ে আসলেন। তাঁরপর রাসূলেপাক (সাঃ) আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী নামাজ পড়লেন এবং তার নাকের আওয়াজও বের হল।
এমন সময় মুয়াজ্জিন এসে ফজরের নামাজের উদ্দেশ্যে আযান দিলেন। রাসূলেপাক (সাঃ) বিছানা থেকে উঠে এসে তাদেরকে নিয়ে নামাজ আদায় করলেন। কিন্তু অযু করলেন না।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / শাকিল আহমেদ মোহন
Leave a Reply