আজ রোববার রাত ১২টা ১ মিনিটের পর যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে। চালু হতে যাচ্ছে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি বা এমএনপি সেবা। এর ফলে গ্রাহকরা নম্বর পরিবর্তন না করেই অন্য মোবাইল অপারেটরের সেবা নিতে পারবেন। তবে এ জন্য কিছু অর্থও ব্যয় করতে হবে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ সেবা চালুর মাধ্যমে প্রয়োজন ও পছন্দ অনুযায়ী মোবাইল গ্রাহকরা যেকোনো মোবাইল অপারেটরের সেবা নিতে পারবেন। প্রতিবার অপারেটর বদলাতে মোট ১৫৭ টাকা ৫০ পয়সা ব্যয় হবে। এর মধ্যে এমএনপি সেবার ফি বাবদ ৫০ টাকা, ভ্যাট বাবদ সাড়ে ৭ টাকা এবং সিম পরিবর্তনের জন্য ১০০ টাকা। যদিও এর আগে এমএনপি সেবার জন্য ৩০ টাকার ব্যয় হওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
সেবাটি নিতে হলে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়ে নতুন একটি সিম (নম্বর আগেরটাই) নিতে হবে। আর সিমটি চালু হতে সময় লাগবে ৭২ ঘণ্টা।
অপারেটর কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, অপারেটর বদলের ক্ষেত্রে প্রতিবার নতুন সিম নিতে হবে। এ জন্য নির্ধারিত মূল্য গ্রাহককেই পরিশোধ করতে হবে। ব্যবহারকারী একবার এ সেবা চালু করলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণত অপারেটর বদল করা যাবে না। তবে কেউ যদি সেবা চালুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবারও অপারেটর বদলাতে চান, তাহলে তাকে অতিরিক্ত ১০০ টাকাসহ মোট ব্যয় করতে হবে ২৫৮ টাকা।
এদিকে এমএনপি সেবা চালু করতে মোবাইলের কলরেট পরিবর্তন করাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ সেবার মাধ্যমে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা ও সেবার মান বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিটিআরসির শর্ত ও ফির কারণে এমএনপি সেবা গ্রাহকের কাছে খুব বেশি আকর্ষণীয় নাও হতে পারে। কারণ, মোবাইল অপারেটরগুলোর সেবার মান, কলরেট ও ইন্টারনেট প্যাকেজের ক্ষেত্রে খুব একটা পার্থক্য নেই।
এ বিষয়ে টেলিযোগাযোগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান লার্ন এশিয়ার জ্যেষ্ঠ গবেষক আবু সাইদ খান বলেন, ‘সাধারণত কম খরচে ভালো সেবা পেতে মানুষ অপারেটর বদলানোর কথা ভাববে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দেশে বড় তিন অপারেটরের মধ্যে খুব বেশি প্রতিযোগিতা দেখা যাচ্ছে না। এ নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও অপারেটরগুলোর মধ্যে কোনো উদ্বেগও নেই। তাই এমএনপির ভবিষ্যত মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।’
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply