নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য গত ১২ নভেম্বর জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন অভিনেতা হিরো আলম। অনেক আগে থেকেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা বলে আসছিলেন তিনি।
তবে, হঠাৎ করে রাজনীতিতে আসা এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণায় নতুন করে আলোচনায় আসেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েক বছর ধরে ব্যাপক আলোচিত হিরো আলম। ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ভাইরাল’ হয়ে গেছে হিরো আলমের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার খবর।
এ বিষয়ে শনিবার (১৭ নভেম্বর) কথা হয় হিরো আলমের সাথে। আশরাফুল আলম সাঈদ ওরফে হিরো আলম বলেছেন, নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টির সঙ্গে তিনি যুক্ত হওয়ায় দলটি আরও বেশি জনপ্রিয় হয়েছে। তার কারণে দেশ-বিদেশে জাতীয় পার্টির প্রচার বেড়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
এর আগে অপর এক আলোচনায় হিরো আলম বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হলে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে নিয়ে ‘পল্লীবন্ধু’ সিনেমা বানাবেন কেবল সংযোগ ব্যবসায়ী থেকে ঢালিউড-বলিউডে অভিনেতা বনে যাওয়া বগুড়ার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হেরে এলাকাবাসীকে কথা দিয়েছিলেন বলেই সংসদ নির্বাচন করছেন বলে জানান হিরো আলম। আর চা-দোকানি থেকে নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে হিরো আলমের এমপি ইলেকশন করার খবরে সবার হিংসে কেন, তা-ও জানতে চান তিনি।
বগুড়ার প্রত্যন্ত এরুলিয়া গ্রামে একসময় সিডি বিক্রি করতেন আশরাফুল আলম। সিডি যখন চলছিল না, তখনই মাথায় আসে কেবল সংযোগ ব্যবসার।
কেবল সংযোগের ব্যবসার সুবাদে মিউজিক ভিডিও তৈরি শুরু করেন। ইউটিউবে প্রায় ৫০০ মিউজিক ভিডিও ছাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ গণমাধ্যমে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। ইউটিউবে প্রকাশ করা তাঁর নিজস্ব ভিডিওগুলোও অনেক জনপ্রিয়।
ভিডিওগুলোর নির্দেশনাও দেন হিরো আলম। ভিডিওগুলোর মূল চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ইউটিউবে হিরো আলমের এসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তাঁর ভিডিও নিয়ে কৌতুক শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোয় তাঁর ভিডিও নিয়ে হয় ট্রল। তবে সবকিছু ছাপিয়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যাপক পরিচিতি পান তিনি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply