একে অপরকে ভালবেসেছিলেন তারা। কিন্তু মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায় অন্য একজনের সাথে। একসঙ্গে থাকা হবে না ভেবে একসঙ্গে মরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী একই গামছায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়েন তারা। কিন্তু ফাঁসিতে যুবকের মৃত্যু হয়েছে, ছিঁড়ে পড়ে বেঁচে গেছেন তরুণী।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। ওই তরুণী এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে মানসিকভাবে প্রচন্ড বিপর্যস্ত।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বাড়ির লোক বিয়ে রাজি না হওয়ায় ২১ বছরের যুবক দীপ এবং ১৭ বছরের এক তরুণী বাড়ি থেকে পালিয়ে দিঘা এলাকায় চলে যান রবিবার সকালে। ওঠেন এক হোটেলে। সারা দিন ঘোরাঘুরি করেন। রাতে হোটেলে উঠে ভোরে দুজনই আত্মহত্যার প্রস্তুতি নেন।
হোটেলের কর্মীরা জানান, একটি গামছার অর্ধেক গলায় পেঁচিয়ে ঝুলে পড়েন দীপ।আর বাকি অর্ধেক গলায় পেঁচিয়ে ফাঁস দেন তরুণী। কিন্তু গামছা ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। পড়েই দেখতে পান, ছটফট করছেন দীপ। তা দেখেই চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। পরে আবার তিনি বিছানার চাদর নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে চলে আসেন হোটেলের কর্মীরা। তারা খবর দিলে পুলিশ এসে দীপের মরদেহ নামায়। আর দিঘা হাসপাতালে তরুণীকে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ জানায়, হাওড়ার বাগনান এলাকায় দীপের বাড়ি। আর ওই তরুণীর বাড়ি বর্ধমানের জামালপুরে। ফেসবুকের মাধ্যেমে দুজনের পরিচয়, পরে প্রেম।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply