গত ফেব্রুয়ারি মাসে মুক্ত আসর-স্বপ্ন ’৭১ প্রথমবারের মতো বাংলা ভাষায় ‘১০০ শব্দে গল্প লেখা প্রতিযোগিতা’র আয়োজন করে। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে মোট ১৮৩ জন লেখক অংশগ্রহণ করে। সেখানে থেকে ১০০টি গল্প নির্বাচন করে প্রকাশিত হয় বাংলা ভাষার প্রথম ১০০ শব্দের গল্পসংকলন ‘শত কথার শত গল্প’।
বইয়ের প্রকাশিত ১০০ জন লেখকের ৭টি গল্পকে ‘সেরা গল্প’ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সংগঠন ‘মুক্ত আসর’-এর আয়োজনে লেখক আড্ডা ও সেরা লেখক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, লেখক হতে হলে বিভিন্ন দেশের নানা লেখকের লেখা বই পড়তে হবে। লেখকদের পড়ার কোনো বিকল্প নেই। বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে ‘শত কথার শত গল্প’ বইয়ের লেখকেরাসহ উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক-সাহিত্যিকেরা।
ভাষাসংগ্রামী, কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রগবেষক আহমদ রফিক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘মুক্ত আসর-স্বপ্ন ৭১’-এর এই উদ্যোগ অভিনন্দনযোগ্য। এটি আমাদের গল্পসাহিত্যে নতুনধারা সৃষ্টির প্রেরণা জোগাবে। আমার সঙ্গে তরুণদের যোগাযোগ অক্ষুণ্ন আছে। ৯০ বছর ছুঁই ছুঁই। তবুও তরুণদের সঙ্গে থাকতে আমার ভালো লাগে।”
মুক্ত আসর-সেরা লেখক পুরস্কার ২০১৮’-এ প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন অঞ্জন আচার্য। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে কাজী ঐশী ও খায়রুল বাবুই। এ ছাড়া চারজনকে দেওয়া হয় বিশেষ পুরস্কার। তাঁরা হলেন—ভারতের তৈমুর খান, বাংলাদেশের শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, নিগার সুলতানা ও তাসনুভা অরিন।
১০০ শব্দে গল্প লেখা প্রতিযোগিতার বিচারক ও শিশুসাহিত্যিক আখতার হুসেন বলেন, একজন লেখক হতে হলে, তাকে বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন ধরনের গল্পের বই পড়তে হবে। বাংলা সাহিত্যে যাঁরা গল্প লিখেছেন, তাঁদের গল্পগুলো আয়ত্ত করতে হবে।
১০০ শব্দে গল্প লেখার বিষয়টি চর্চার জন্য কর্মশালার আয়োজন করা যেতে পারে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মনোরোগ চিকিৎসক মোহিত কামাল, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নূরুন আখতার, শিক্ষক ও সমাজসেবী রাশেদা নাসরীন, মুক্ত আসরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু সাঈদ প্রমুখ।
এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন ও পুরষ্কার বিতরণ উদ্বুদ্ধ করবে তরুণ লেখকদের। যেটি নিঃসন্দেহে উন্নয়ন করবে বাংলা সাহিত্যের।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply