সব জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত রবিবার আওয়ামীলীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন টাইগারদের বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ভক্তদের নানা আলোচনা-সমালোচনা উপেক্ষা করে আজ এই ফরম সংগ্রহ করেন তিনি। এর আগে গনভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতও করেন তিনি।
রবিবার দুপুরে মনোনয়নপত্র নেয়ার পর শহরের মুচিরপোল, চৌরাস্তা, টার্মিনাল, রেন্টএকারসহ বিভিন্ন এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেছেন মাশরাফি ভক্তরা।
সারাদিনই মাশরাফিকে অভিনন্দন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঙ্গনের নানা রকম ব্যক্তিত্ব। একইসাথে এই ঘটনায় বিপরীত প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছেন কেউ কেউ।
এদিকে দৈনিক প্রথম আলোর ক্রীড়া প্রতিবেদক রাজীব হাসান লিখেছেন, ‘২২ ডিসেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি, ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচন। সাকিব নির্বাচনী এলাকায় থাকবেন, নাকি মাঠে? নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রচারাভিযান করবেন, নাকি ওয়ানডে সিরিজ (৯-১৪ ডিসেম্বর) নিয়ে ভাববেন মাশরাফি?’
এই পোস্টের নিচেই কাজী জোবায়ের নামে একজন কমেন্ট করেছেন, ‘ওদের জনপ্রিয়তা ওরা নিজেরাই ধ্বংস করছে, বেশি ভালোবাসলে যা হয় আর কি। এটা তাদের বড় ধরনের একটা ভুল সিদ্ধান্ত। তারা তো সব ধরনের রাজনীতি থেকে ঊর্ধ্বে।’
দৈনিক নিউ এজের সহকারী সম্পাদক সৈয়দ ফাইয়াজ আহমেদ লিখেছেন, ‘গতকাল পর্যন্তও এদেশের কিশোররা মাশরাফি হতে চাইতো। আর আজ থেকে ওরা জানবে, ওদের সহপাঠীকে খুন করা আর ওদের আন্দোলনকে রক্তাক্ত করাদের একজন সহযোগী এই মাশরাফি। আদর্শ থাকলে সেটাকে সামনে রেখে বড় হওয়ার একটা সুবিধা আছে, তবে ব্যক্তিপূজা পরিত্যাজ্য। আদর্শ আর ব্যক্তি তাই গুলিয়ে ফেলার উপায় নেই। ধরায়ে দিবানি , বন্ধুর মরনে শোককে শক্তিতে পরিণত করা আর অসংখ্য বাঁধা পেরিয়ে জয়ের জন্য ঝাপিয়ে পড়া নেতা মাশরাফি একটা আদর্শ, সেটা শ্রদ্ধার, উদ্দীপনার। আর হাতুড়ি, লুঙ্গি, পেটোয়া বাহিনী, খুনে, দূর্নীতিবাজদের সহচর মাশরাফি একটা ঘৃন্য ব্যক্তিত্ব। তার জন্য একরাশ ঘৃণা।’
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ/ আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply