সরকারের আগের দুই মেয়াদে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে উন্নয়ন ও অগ্রগতি হয়েছে তা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের প্রাথমিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যেহেতু আওয়ামী লীগ সরকার টানা গত ১০ বছর ধরে দেশ পরিচালনা করেছে এবং তাদের সময়েই সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে, তাই এ সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশাও অনেক বেশি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের রাজনীতিতে এক ধরনের অনিশ্চয়তা বিরাজ করায় ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগকারীরা নতুন বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কিছুুটা হলেও ‘ধীরে চলো’ নীতি অনুসরণ করেছেন। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি হলেও সেই প্রবৃদ্ধি ব্যাপকভিত্তিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। বিগত বছরগুলোতে সরকারি খাতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ হয়েছে। নানা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।
কিন্তু অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, সরকারি বিনিয়োগ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে খুব একটা অবদান রাখতে পারে না। তাই কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সবার আগে প্রয়োজন ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ। আর কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হলে কাক্সিক্ষত মাত্রায় দারিদ্র্যবিমোচন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। অবশ্য শুধু ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমেই যে ব্যাপকভিত্তিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়, তা সবসময় নাও হতে পারে। অন্য নানা উপায়েও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে। তবে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যত সহজ, অন্য কোনো উপায়ে তা করা সম্ভব হয় না।
সরকার দারিদ্র্যবিমোচনের অন্যতম কৌশল বা হাতিয়ার হিসেবে ব্যাপকভিত্তিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে। তাই সরকার ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্যান্য উপায়েও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য সচেষ্ট হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যেই ৮টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। আরও ২৮টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়নের কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পাল্টে যাবে। ব্যাপক মাত্রায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply