নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি:সারাদেশের শহর ও পল্লী এলাকায় শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। শস্য, মৎস্য ও দেশের প্রাণি সম্পদের সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ করার জন্য আজ রোববার (৯ জুন) থেকে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ কৃষি শুমারি ২০১৮। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষির উপখাত সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহের জন্য শুরু হয়েছে কৃষি শুমারি। জানা গেছে, কৃষি (শস্য, মৎস ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি পরিচালনার মাধ্যমে কৃষি খানার সংখ্যা, খানার আকার, ভূমির ব্যবহার, শস্যের ধরণ, জমি চাষের প্রকার, চাষ পদ্ধতি, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির সংখ্যা, মত্স্য চাষের বিভিন্ন তথ্যাদি এবং এ সব কার্যক্রমে নিয়োজিত জনবল সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে।
এ ধরনের তথ্য কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণ এবং অগ্রগতি পর্যাবেক্ষণে বেঞ্চমার্ক তথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দেশের জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৩.৩১ শতাংশ এবং এ খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৪০ শতাংশ মানুষ জড়িত। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জানান, শুমারি চলবে ২০ জুন পর্যন্ত। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ওয়ার্ল্ড প্রোগ্রাম ফর দ্য সেনসাস অব অ্যাগ্রিকালচার-২০২০ (ডব্লিউসিএ ২০২০)-এর নীতিমালা অনুযায়ী শুমারিটি পরিচালিত হবে। খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) কৃষি অনুষদের জন্য বিশ্ব প্রোগ্রামের নির্দেশিকা অনুযায়ী এ শুমারি পরিচালিত হবে। ফসল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
দেশের জিডিপিতে কৃষিতে ১৩.৩১ শতাংশ অবদান রয়েছে। কৃষি খাতে ৪০ শতাংশ মানুষ জড়িত। কৃষি শুমারির তথ্য সংগ্রহের জন্য সারাদেশে প্রায় দেড় লাখ তথ্য সংগ্রাহক কাজ করবে। তথ্য সংগ্রহের জন্য মডিউলার পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। প্রকল্প পরিচালক এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জাফর আহমেদ খান বলেন, মাঠ পর্যায়ে মোট ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪৪ জন তথ্য সংগ্রহকারী কাজ করবেন।
তাদের তদারকি করবেন ২৩ হাজার ১৪২ জন। সেই সাথে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সমন্বয়কারী থাকবেন। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের সমন্বয়কারীদের জন্য গত মাসে ঢাকায় তিন দিনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করে বিবিএস। সর্বশেষ ২০০৮ সালে দেশে কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply