সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘কোটা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে বিবেচনাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে সময় লাগবে। বিষয়টি আসলে আপনারা যতটা সহজ ভাবছেন ততটা সহজ নয়, জটিল আছে।’
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে একটি কমিটি গঠন করার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা। এই কমিটি গঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, ‘কমিটির পর্যায়ে এর আনুষ্ঠানিক কোনো কার্যক্রম নেই। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এই পর্যায়ে কোনো ঘোষণা আসেনি। এটি উচ্চপর্যায়েই রয়েছে। তবে শুরু হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’
কোটা সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তবে এপ্রিল মাসের শুরুতে এই আন্দোলন জোরদার হয়। গত ৯ এপ্রিল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করে ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। আন্দোলনকারীরা এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিলও করে। কিন্তু সেই প্রজ্ঞাপন এখনো জারি হয়নি।
প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে গত শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পূর্বঘোষিত সংবাদ সম্মেলনে বাধা দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। এতে ১০ জনের মতো আহত হন। আহতরা অভিযোগ করেছেন, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তবে হামলা ও মারধরের ব্যাপারে ছাত্রলীগের নেতাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর পরই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ অধিকার ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে বাধা ও হামলার প্রতিবাদে রোববার থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
কোটা সংস্কারের দাবী না মিটিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যাবেন বলে এই অবস্থায় তেমনটা মনে হচ্ছে না। বরং এই আন্দোলনকে আরো গতিশীল করতে ইতোমধ্যে বিনামূল্যে আইনি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আইনজীবীদের একাংশ।
তবে দেশের অধিকাংশ জনগনের দাবী-দাওয়া মাথায় রেখে শেখ হাসিনা পরবর্তী পদক্ষেপ হাতে নেবেন বলেই আশাবাদ দেশবাসীর।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply