চলছে রমজন। ঈদ আসন্ন। এই ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর চাহিদা। চাহিদাকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দিচ্ছেন মূল্যও।
তবে মান কতটুক নিয়ন্ত্রন হচ্ছে এসবের? সে খবর ভোক্তা হিসেবে আমরা অনেকেই রাখতে পারি না।
ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ হাতে পেয়েই তৈরী করে চলেছে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য। যার ফলশ্রুতিতে দেখা যায় মারাত্মক রোগ বাসা বাধে শরীরে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রানের লক্ষ্যে এবার মাঠে নেমেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এরই অংশ হিসেবে রাজশাহীতে সোমবার দিনব্যাপি অভিযান পরিচালনা করেছেন আদালত। নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাইসহ মিষ্টিজাত খাবার উৎপাদন করার দায়ে ১২টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত কুমার পাল জানান, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লাচ্ছা সেমাই উৎপাদন করায় প্রাণ লাচ্ছা সেমাই (রাজ-২) ও প্রাণ এগ্রো লিমিটেডকে ৩০ হাজার টাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিস্কুট চানাচুর ও লাচ্চা তৈরির দায়ে বিশাল ফুড ইন্ডাস্ট্রিজকে ৩০ হাজার টাকা, একই অভিযোগে রাতুল বেকারিকে ২০ হাজার টাকা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি উৎপাদন করায় মিষ্টিবাড়িকে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এতে হয়তো সাময়িক কিছু টাকা ক্ষতির মুখে পড়ছে প্রতিষ্ঠান গুলো। তবে দীর্ঘমেয়াদী যে ক্ষতি হচ্ছে ভোক্তাদের, তা থেকে মুক্তির উপায় কোথায়?
মানুষ হিসেবে এইসকল ব্যবসায়ীদের কিছু দায়বদ্ধতা থাকা উচিৎ। রোজা-রমজান-ঈদ, এইসকল ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত পুঁজির আশায় অনৈতিক ও বিবেকবর্জিত কর্মকান্ডে জড়ানো উচিৎ নয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply